আবারও একসাথে তারা

0

বিনোদন ডেস্ক : ৪৫ বছর আগে যখন তাদের পরিচয়। এরপর অভিনয় করেছেন বেশকিছু সিনেমায়। তার মধ্যে অন্যতম বলিউডে ইতিহাস হয়ে থাকা সত্তর দশকের ক্লাসিক সিনেমা ‘কাভি কাভি’। বুঝে গেছেন কাদের কথা বলছি। অমিতাভ বচ্চন ও ওয়াহিদা রহমান। দ্বিতীয়জনকে আগের মতো সিনেমায় পাওয়া যায় না। এ ‘এইজলেস বিউটি’ কালেভদ্রে দু-একটা সিনেমায় দ্যুতি ছড়ান। অন্যদিকে অমিতাভ এখনো তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে চলেছেন।

সম্প্রতি তাদের দেখা হল। সাক্ষি সলভের লেখা বই ‘দ্য বিগ ইন্ডিয়ান ওয়েডিং’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ওয়াহিদার সঙ্গে দেখা অমিতাভের। আর সে সময় তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিগ বি। ক্যাপশনে লিখেন, ‘কিছু সময় আমার গাইড অভিনেত্রীর সঙ্গে কাটালাম।’ ছবি দেখে বোঝা যায় কতটা সরস সময় কেটেছে তাদের। তারপরও কয়েক কলম লিথতে ভুলেননি অমিতাভ।

৭২ বছর বয়সী ‘শোলে’ তারকা নিজের ব্লগে সে দিনের ফিরিস্তি দেন। জানান, ওয়াহিদার বয়স ৭৭ হলেও একেবারে শিশুসুলভ, দুষ্টু বুদ্ধি মাথায় গিজগিজ করছে। সবসময়ই ঠাট্টার পরিবেশ পছন্দ তার। আজও তিনি ছেলেমানুষের মতো৷ গত ৪৫ বছরে যতবার দেখা হয়েছে, ততবার ওয়াহিদাজির এ গুণ টের পেয়েছেন৷

তিনি আরও লিখেন, সিনেমায় আসার আগেই ওয়াহিদা রেহমান ছিলেন তার ফেভারিট৷ ওয়াহিদার জনপ্রিয় সব সিনেমা দেখতে দেখতে রূপালি পর্দায় আসা। আজও আগের মতোই এ নায়িকা তার ফেভারিট।ছবি দেখে বলা যায়, বহুদিন পর দেখা হওয়াতে কতটা খুশি হয়েছেন তারা। গল্প, ঠাট্টা-তামাশায় মশগুল ছিলেন সারাটা সময়৷ পরে বিগ বি জানিয়েছেও সে কথা৷ আড্ডায় জমে গিয়েছিলেন তারা, তাই বলে কেউ যেন কিছু মনে না করেন!ওয়াহিদা রেহমানের সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫৪ সালে। তার প্রথমদিকের জনপ্রিয় সিনেমা হল তেলেগু ভাষায় নির্মিত ‘জয়সিমা’ (১৯৫৫), ‘রজুলু মারায়ি’ (১৯৫৬) ও তামিল ‘কালাম মারি পচু’ (১৯৫৫)। ‘রজুলু মারায়ি’র পর গুরু দত্তের হাত ধরে হিন্দি সিনেমায় তার অভিষেক। এর পর তাকে দেখা গেছে ‘গাইড’ ও ‘কাগজ কি ফুল’সহ বেশ কিছু সিনেমায়। অন্যদিকে ১৯৬৯ সালে মৃণাল সেনের জাতীয় পুরস্কারজয়ী ‘ভুবন সোম’ সিনেমায় নেপথ্য কণ্ঠ দেন অমিতাভ। একই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাত হিন্দুস্থানী’। সব মিলিয়ে বয়স ও সিনেমা ক্যারিয়ার দুই জায়গায় অমিতাভের সিনিয়র ওয়াহিদা রেহমান।অমিতাভ-ওয়াহিদা একসঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করেছেন যে সব সিনেমায়— ‘রেশমা আউর সেরা’ (১৯৭১), ‘কাভি কাভি’ (১৯৭৬), ‘আদালত’ (১৯৭৭), ‘ত্রিশূল’ (১৯৭৮), ‘নসিব’ (১৯৮১), ‘নমক হালাল’ (১৯৮২), ‘মহান’ (১৯৮৩), ‘কুলি’ (১৯৮৩), ‘রেশমা’ (১৯৯৫), ‘দিল্লি ৬’ (২০০৯) ও ‘মেহেরুন্নেসা’ (২০১৩)। এর মধ্যে ৫টি সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি গানও গেয়েছেন অমিতাভ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.