বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ২১ জেলে

0

চট্টগ্রাম অফিস:  দু সপ্তাহ ধরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে চট্টগ্রামের ২১ জেলে নিখোঁজ রয়েছে । নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের লোকজন এ খবর জানিয়েছেন। তাঁদের খোঁজে থানায় একটি জিডি করেই দায় সেরেছে ট্রলারের মালিক পক্ষ। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম।

জেলেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় একমাস পূর্বে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলা থেকে ইউসুফ জালাল মাঝির নেতৃত্বে ‘এসএসবি মুসা ফকির’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ওই ২১ জেলে বঙ্গোপসাগরে যায়। সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) পটুয়াখালির মহিপুর থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাদের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

দুই সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তাদের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়েছে পরিবারগুলো। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের অভিযোগ এ বিষয়ে তারা ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতাই পাচ্ছেন না।

এদিকে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজ ২১ জেলের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। এরমধ্যে বাঁশখালি উপজেলার শেখের খিল ইউনিয়নের লালজীবন গ্রামের একই পরিবারের ৭ সদস্যে রয়েছে। তারা হলেন ট্রলারের সর্দার ইউসুফ জালাল মাঝি (৫৩), সর্দারের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন (৩৩), আহমদ কবির (৪০), সর্দারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২২), আবদুল হামিদ (১৯), বোনের ছেলে আবদুল মান্নান (১৭), ভাইয়ের ছেলে ছৌয়দ নুর (২২) এবং একই গ্রামের সহযোগী জেলে ইছমাইল (৪৮)।

এছাড়া নিখোঁজদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার পাঁচ জেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউসুফ জালাল মাঝির ভাই নুরুল কবির বলেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালির মহিপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে আমার পরিবারের ৭-৮ সদস্যসহ ২১ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কারণ ২৫ তারিখ ছিল ঈদুল আযহা। তার তিন দিন পরেই বাড়ি ফেরার কথা ছিলো। ওদিন আমিও আরেকটি ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরেই ছিলাম। কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাগরে ঝড় উঠে। ঝড়ের কারণে আমরা উপকূলে ফিরে আসি। কিন্তু এরপর থেকে আমার ভাইদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২১-২২ জন মানুষ আজ দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকলেও ট্রলারের মালিক রেজাউল করিম চৌধুরী কোনরকম খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। এমনকি আমাদের এক পরিবারের ৮ জন মানুষ উনার ট্রলার চালাতে গিয়ে নিখোঁজ, অথচ তিনি একটি বারের জন্য দেখতেও আসেননি।’

কোস্টগার্ড পুর্বাঞ্চলের অপারেশান অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম দুরুল হুদা জানিয়েছেন, এবিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তবে এবিষয়ে ভোলা রিজিয়নের কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.