বঙ্গবন্ধু বিপিএলঃ খুলনাকে হারিয়ে আবারো শীর্ষে চট্টগ্রাম
স্পোর্টস ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগারকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফের শীর্ষস্থান ফেরত পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ (শনিবার) সিলেট পর্বের খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে ইমরুল কায়েসের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যাওয়া ঢাকার ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রাজশাহীরও।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় খুলনা। দলীয় ৮ রানেই হারায় তাদের ওপেনার মেহেদী মিরাজকে। এরপর ১৪ রান তুলতেই সাজঘরে খুলনার আরও দুই টপ অর্ডার। হতাশ করেন বিপিএল ইতিহাসে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হাশিম আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান আভাস দিয়েছিলেন ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখানোর। কিন্তু ৬ বলে ২ চারে ব্যক্তিগত ৮ রান করতেই মেহেদী হাসানরানার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তখন মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে চলেন রুশো।
কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে বিদায় নেন মুশফিকও (২৯)। রুশো ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থাকতে বোল্ড হন কেসরিক উইলিয়ামসের বলে। তার ৪০ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ চার ও ২ ছক্কায়।এরপর রবি ফ্রাইলিংক (১৭) ছাড়া আর কেউ দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। রুবেল হোসেন ও রানার তোপে দ্রুত বিদায় নেন আমির ইয়ামিন (০), আলাউদ্দিন বাবু (১), তানভীর ইসলাম (৩), আল ইসলাম (১)। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শফিউল ইসলাম। এতে চট্টগ্রামকে ১২২ রানের টার্গেট দিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল।
৩.৫ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে সমান উইকেট নিয়েছেন মেহেদী রানাও। ২ উইকেট নিয়েছেন উইলিয়ামস।
১২২ রানের টার্গেটে উদ্বোধনী জুটিতেই চট্টগ্রামকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান লেন্ডল সিমন্স আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। প্রথম ১০ ওভার অনায়াসেই কাটিয়ে দেন তারা, রান ওঠে ৬৯। ২৮ বলে ৩৬ রান করা সিমন্সকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন আলিস আল ইসলাম। পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটসম্যান জুনায়েদকেও (৩৯ বলে ৩৮) একইরকম ফিরতি ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর দাঁড়াতে পারেননি দাসুন গুনারত্নে (০) আর চ্যাডউইক ওয়ালটন (৭)। তবে লক্ষ্য ছোট বলে উইকেট হারিয়েও তেমন চিন্তাও পড়েনি চট্টগ্রাম। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বাকি পথটা সহজেই পারি দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গী করে। ২৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল, ৬ বলে ৭ রানে সোহান।