শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাত উন্নত করতে কাজ করবঃ এম এ মতিন

0

সিটি নিউজঃ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মাওলানা এম এ মতিন বলেছেন, বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ ও দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর লাগোয়া ওয়ার্ড ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড। ব্যবসায়ীদের প্রাণ খ্যাত এলাকাটিতে রয়েছে দেশ খ্যাত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এ ওয়ার্ডের। কিন্তু সে গুরুত্ব মাদক, চাঁদাবাজি, জলাবদ্ধতা ও পানি সঙ্কটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচিত হলে এলাকার জলাবদ্ধতা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অসামাজিক কার্যকলাপ, ঘিঞ্জি ও ভঙ্গুর রাস্তাঘাটসহ সমস্যাগুলো সমাধান করতে চেষ্টা করব।

আজ বুধবার (১৮ মার্চ) ৩৯নং, ৩৭নং ও ৩৮নং পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা, মধ্যম গোসাইলডাঙ্গা, পূর্ব নিমতলা, পশ্চিম নিমতলা, ফকিরহাট, মুহুরীপাড়া, মনসুরাবাদ, পানওয়ালাপাড়া, হাজীপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, হালিশহর, শান্তিবাগ, আনন্দীপুর ও রঙ্গীপাড়া এলাকা দক্ষিণ মাধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করে একথা বলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা এম.এ মতিন।

এম এ মতিন আরো বলেন, নালাগুলো ভরাট ও বেদখলে চলে গেছে। অনেক জায়গায় প্রধান সড়কের সাথে সংযোগ রাস্তা নেই। পর্যাপ্ত স্কুল-কলেজ না থাকায় শিক্ষার মান ও পরিবেশ দিন দিন অবনতি হচ্ছে। গোসাইলডাঙ্গায় স্কুলগুলোতে সুপেয় পানির বড় সঙ্কট। জলাবদ্ধতার কারণে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। শেখ মুুজিব রোডের প্রগতি এবং নিমতলা বিশ্বরোড এলাকায় ফুট ওভারব্রীজ না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার জমে থাকায় মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এলাকায় ছিনতাইকারীদের উপদ্রুব রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনে মোমবাতি প্রতীকে রায় দিয়ে যদি জনগণ জয়যুক্ত করে তাহলে এলাকার মানুষের পরামর্শের ভিত্তিতে উল্লেখিত সমস্যা সমাধান করব। এই এলাকার বাসিন্দারা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকাবাসীকে অস্থির করে তোলে। সড়কগুলো যদি আরো প্রশস্ত করা যেত তাহলে যানজটের দুর্বিষহ যন্ত্রণা অনেকটা দূর হতো। নানা সমস্যায় ডুবে থাকা ওয়ার্ডটির হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণকে মোমবাতি প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশের মহাসচিব পীরে ত্বরিকত মাওলানা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক স.উ.ম আবদুস সামাদ, সদস্য সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রফেসর সৈয়দ ড. জালাল উদ্দীন আজহারী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি, মাওলানা ওবাইদুল মোস্তাফা কদমরসুলী, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন, কাযী মাওলানা হাফেজ আহমদ আলকাদেরী, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, অধ্যক্ষ ডিআইএম জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা ক্বারী ফেরদৌসুল আলম আলকাদেরী, মুহাম্মদ সাকুর মিয়া, মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, মাওলানা গিয়াস উদ্দীন নেজামী, মাওলানা নুরুল কবির রেজভী, মাওলানা ইউনুচ তৈয়বী প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.