সীতাকুণ্ডের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছিঃ ভূঁইয়া সামী আল মুজতবা (শুভ)

0

দিলীপ তালুকদার, সিটি নিউজঃ নির্বাচন কমিশন আগামী ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সাথে সাথে সীতাকুণ্ডে পৌর মেয়র পদে নির্বাচনী হাওয়া এখন জমে ‍উঠেছে। ক্ষমতাসীনদলের প্রার্থীর সংখ্যাই বেশী। রাজপথে নেই, আন্দোলন সংগ্রামে নেই এমন অনেক নেতাকর্মীও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও রয়েছেন। যাদের রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে রাজনীতি। এমনি একজন সীতাকুণ্ডের ছাত্রলীগের রাজনীতির দক্ষ সংগঠক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভূঁইয়া সামী আল মুজতবা।

সীতাকুণ্ডের এক বনেদি পরিবারের সন্তান ভূঁইয়া সামী আল মুজতবা (শুভ) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও ‍চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সুরাইয়া বাকের এর সন্তান।

রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা সামীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নজরে পড়েছে রাজনীতির ও সমাজসেবার ধারাপাত। সমাজের মানুষের জীবন যাত্রাকে আধুনিকরণ ও এলাকার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিজেকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তা ভালভাবে ছাত্রজীবনে ‍নিজের ঘর থেকেই শিক্ষা নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের ক্রিড়া সম্পাদক ও সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পাদে ২০০৫ সালে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বৃত্ত ও সেতু নামের দুটি সামাজিক সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্য, গোলাবাড়ীয়া ক্লাবের সদস্য হওয়া ছাড়াও সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে যে কোন দূর্যোগের সময় ও কারোনাকালীন মহামারীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন শুভ।

শুভ’র বাবা সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভঁইয়া ভাটেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ডিগ্রী কলেজ, বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়সহ আলীয়া মাদ্রাসার দাতা সদস্য। শুভ’র দাদা ফররুখ আহমদ ভূইঁয়া ছিলেন শিক্ষানুরাগী, সংগঠক, দানবীর ও সমাজসেবক। সীতাকুণ্ডের আমিরাবাদ ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শুভ আগামী সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার প্রত্যাশা করেন।

একজন তারুণ্যের অহংকার শুভ এখন জনসেবা করে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন নিজেকে যাহির না করে নীরবে নিভৃতে সমাজসেবায় ও অসহায় মানুষের ছায়া হয়ে থাকেন। স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকাকে সমৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন ও জনগনের সমস্যা-দুর্ভোগ লাগবে কাজ করেন। সৃজনশীল কর্মে সবসময় অগ্রযোদ্ধা রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন প্রশংসীতভাবে। একজন মানুষ যদি কাজে মেধা, শ্রম, আন্তকিতা, সততা, ভালোবাসা উজাড় করে দেয তবেই মানুষটি সফল এবং মূল্যায়িত হবেন এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। জীবন ও জীবিকার তাগিদে করছেন ব্যবসা।

সিটি নিউজকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে শুভ বলেন, আপনি জানেন আমার বেড়ে ‍উঠা রাজনৈতিক পরিবারে। আমাদের পরিবার রাজনীতি ও সমাজসেবায় জড়িত। রাজনীতি করি মানুষের জন্য, সমাজসেবা করতে গেলে দায়িত্বশীল কোন পদে থাকলে মানুষের সেবা ও এলাকার উন্নয়নে বেশী করে অবদান রাখা যায়। ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনের পর এ বছর শেষে নির্বাচন হতে পারে। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্ধিতা ও চাওয়া-পাওয়া সকলের থাকবে। দল মনোনয়ন দিলে মেয়র পদে প্রার্থী হব ইনশাল্লাহ্। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবো।

শুভ বলেন, সীতাকুণ্ডের সমস্যার কোন শেষ নেই। জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, কাঁচাবাজারকে বহুতল ভবনে রূপান্তর, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের উন্নয়ন, সড়কবাতি এলইডিতে রূপান্তর, মিনি স্টেডিয়াম ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আধুনিক করণ, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং বন্ধের ব্যবস্থাগ্রহনসহ পৌরবাসীর সমস্যা সমাধানে জোর দিতে হবে। নারীর প্রতি প্রতিহিংসা প্রতিরোধে শক্তিশালী প্রতিটি ওয়ার্ডে গঠনসহ একটি আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যাশা আছে, যদি আল্লাহর ইচ্ছায় মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হই।

তিনি বলেন, সমাজে নিরীক্ষরতা দূর করতে, প্রবীণ ও বয়ষ্কদের স্বাস্থ্যসম্মত স্বাস্থকেন্দ্র স্থাপন, কিশোর গ্যাং নির্মূলে জনচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সীতাকুণ্ডে প্রতিবছর শিব চতুর্দশী মেলায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটে। পাহাড়ে দূর্গম পথে মন্দিরে যেতে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে “ক্যাবল কার” এর ব্যবস্থা নেব। সীতুকুণ্ডকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবো না। ভোগে নয়, ত্যাগেই বিশ্বাসী হয়ে রাজনীতির মানচিত্রে সমাজসেবা ও এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সমস্যা চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে হবে। দেশে সব সময় সুযোগসন্ধানীরা চক্রান্তে পথ খোঁজে। তারুণ্যকেও ওরা বিভ্রান্ত করতে চায়।

জাতীর স্বপ্নীল সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থক ছাড়াও সকল নাগরিকের সচেতন ভুমিকা জরুরী। আওয়ামী লীগের মুকুটে উজ্জ্বল সাফল্যের পালকযুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমাদের আত্মতুষ্ঠিতে ভুগলে চলবে না। সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে জোরালোভাবে অব্যাহত রাখতে হলে ও উন্নয়নসহ মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে ব্যক্তির চেয়ে দলীয় প্রস্তুতিসহ দলীয় কর্মকান্ডকে বেগবান করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.