চন্দনাইশ বৈলতলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ২, ফাঁকা গুলি

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ উপজেলার বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত আহমদ কবিরের ছেলে আকাশ কবির তুষার (২৪), ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে ইফতি চৌধুরী (১৭), গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে চন্দনাইশ স্ব্স্থ্যা কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে পুলিশ একজনকে আটক করে।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফাঁকা গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আকাশ কবির তুষার ও ইফতি চৌধুরী গুরতর আহত হয়। তাদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, রফিক সওদাগরের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে তার ছেলে মো. সাগর বাদি হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশ তদন্ত করে আসার পর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য যে, বৈলতলী এলাকায় ইতিমধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত রমজানের ঈদের দিন ২৪ মে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। ৪ জনের মধ্যে আকাশ কবির তুষারও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। দুইপক্ষের মধ্যে বিভিন্ন ঘটনায় ১৭টি মামলা দায়ের হয়। অপরদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর দিঘীরপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জনের অধিক আহত হয়। ঐ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। একদিন পর বালু মহালকে কেন্দ্র করে আরেকটি ঘটনায় ৩ জন আহত হয়। থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

গত ১ বছর ধরে বৈলতলী এলাকায় কোন না কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি, পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।

এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল বলেছেন, তিনি স্থানীয় মেম্বার থেকে গোলাগুলির সংবাদ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন সরকার বলেছেন, তিনি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান ।

গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, মারামারি ও কোপাকুপির ঘটনা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত তুষারের বোন নাছরিন জান্নাত কলি বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গতকাল ১৭ জানুয়ারি মামলাটি গ্রহণ করে মামলার এজহার নামীয় আসামী মৃত নজু মিয়ার ছেলে মো. ইদ্রিস (৪৭) কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীকে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান। বর্তমানে বৈলতলী জাফরাবাদ ও বশরতনগর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবস্থান নিয়েছেন। এলাকায় গ্রেপ্তার এড়াতে পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.