চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

0

কামরুল ইসলাম দুলু(সীতাকুন্ড)  :    চমেক হাসপাতালে ভূল চিকিৎসা ও ডাক্তার, নার্স, আয়াদের অবহেলায় সুস্থ নবজাতক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত শিশুর মা-বাবা ও আত্বীয়-স্বজনরা। এভাবে ভূল চিকিৎসায় প্রতিদিন কয়েকজন শিশুর মৃত্যু ঘটে বলেও তারা অভিযোগ করেন। একাধিক সূত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড নতুনপাড়া গ্রামের আ’লীগ নেতা নিজাম উদ্দিনের মেয়ে আনজুমান আরা (২৭) সন্তান প্রসবের সময় হলে স্থানীয় ডাক্তার কৃষ্ণা দত্তের কাছে প্রাইভেট চেকআপ করান। এরপর তিনি চমেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শনুযায়ী গত ১৯ অক্টোবর ২০১৫ইং চমেক হাসপাতালে ৩৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

ভর্তির পর নরমাল ডেলিভারী করার জন্য ওয়েটিং এ রাখেন। একদিন পর ২০ অক্টোবর নার্সরা জানায় সিজার করতে হবে। এরই মধ্যে তিন দফা বিপুল পরিমান ঔষুধ কিনিয়ে নার্সদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ঐ দিন সিজার করে এবং নবজাতক ছেলে শিশু ও মা সুস্থ অবস্থায় ডেলিভারী হওয়ার পর তারা রিলিজ নিয়ে বাড়ীতে চলে আসার ইচ্ছা পোষন করলে নার্স ও আয়ারা নবজাত শিশুটিকে আলাদা করে ৩২নং ওয়ার্ডে ৩৩নং বেডে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া শুরু করে কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই। লাইফ সাপোর্ট কেন দিচ্ছে জিজ্ঞাস করলে শিশুরটির ছোট নানি তাসলিমাকে নাজেহাল করে আয়া ও নার্সরা। এভাবে লাইফ সাপোর্টে দুই দিন রাখার পর ডাক্তাররা বলেন, জন্ডিস হতে পারে তাই তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। শিশুর নানী নূর নাহার বেগম জানায়, শিশুটি দুই দিন দুধ খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু নার্স আয়ারা খেতে দেয়নি। জন্ডিস না হলেও শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেয়ায় অতিরিক্ত গরমে শিশুটি তিন দিনের মাথায় ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

শিশুটির চোখে তুলা দিয়ে পাওয়ারী লাইট জ্বালিয়ে তাপ দেয়া হয়েছিল। নূর নাহার বেগম আরো অভিযোগ করে বলেন, নার্স আয়ারা শুধু ঔধুধের স্লিপ দিয়ে ঔষুধ কিনায় কিন্তু রোগীকে ব্যবহার করতে দেখা যায় না। তার সুস্থ মেয়েকে অসুস্থ করে দিয়েছে সিজার করে। প্রয়োজনীয় ঔষুধ কিনে দিলেও তারা দেয়নি। অপরদিকে নবজাতক শিশুটিকে কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়া লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তিন দিনে মেরে ফেলেছে।

কর্মরত ডাক্তাররা ঠিকমত দেখেন না। এই ওয়ার্ডে আয়া-নার্সরাই সবকিছু। তারা রোগীর সঙ্গে থাকা লোকদের সঙ্গেঁ চরম খারাপ ব্যবহার করেন। তারা ঔষুধ বাহিরে নিয়ে পূনরায় ফার্মেসীতে বিক্রি করে দেন। শুধু ঔষুধ কেনানোর জন্য রোগীকে ভর্তি দেখান, চিকিৎসার জন্য নয়। ডাক্তার নার্সদের সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতালের যোগসূত্র রয়েছে বলেও তারা অভিযোগে জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.