মুমিনুলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি

0

স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহীর বিপক্ষে একটি ৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। পরের তিন রাউন্ডে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি মুমিনুল হককে।

অবশেষে শেষ রাউন্ডে এসে আরেকবার হাসি ফুটল মুমিনুলের ব্যাটে। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে সেটাকে আবার ডাবলে রূপান্তর করেছেন চট্টগ্রামের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। টেস্টে কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, ক্যারিয়ারে এটাই মুমিনুলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরের কারণে জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলতে পারেননি মুমিনুল। ভারত সফরে ব্যাট হাতে রান-খরা কাটানো মুমিনুল জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেই রাজশাহীর বিপক্ষে ৯০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি।

পরের তিন রাউন্ডে আর বড় ইনিংস খেলেতে পারেননি মুমিনুল। তিন ম্যাচের চার ইনিংসে তার রান ছিল যথাক্রমে ১৬, ৮, ৩৬ ও ১। অর্থাৎ চার ইনিংস মিলে মাত্র ৬১ রান। আর সেখানে শেষ রাউন্ডে এসে হাঁকালেন ডাবল সেঞ্চুরি।

বগুড়ায় বরিশালের বিপক্ষে দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল। সোমবার তৃতীয় দিনে লাঞ্চের ৩০ মিনিট আগেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান।

ব্যক্তিগত ৮৭ রান থেকে বরিশালের স্পিনার গোলাম কবিরের বলে চার মেরে ৯০-এর ঘরে পৌঁছান মুমিনুল। এরপর দুটি সিঙ্গেল নেওয়ার পর সোহাগ গাজীর বলে চার মেরে পৌঁছে যান ৯৭-এ। এক ওভার বাদে সোহাগের বলেই ১ রান নিয়ে ৯৮-এ পৌঁছার পর সালমান হোসেনের বলে ২ রান নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার।

ব্যক্তিগত ১২৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে ব্যক্তিগত খাতায় আরো ৬৭ রান যোগ করে ১৯৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যান তিনি। আর চা বিরতির পরই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল।

আর কদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিপিএলের তৃতীয় আসর। জাতীয় লিগের এই ডাবল সেঞ্চুরি বিপিএলের আগে আত্মবিশ্বাসই জোগাবে বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুলকে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.