সৌদিতে লেডি আল কায়দারকে ১৫ বছর সাজা

0

মোরশেদ রানা, সৌদিআরব: সৌদি আরবে জেদ্দার এক আদালতে এক নারী আল কায়দা সদস্যকে ১৫ বছরের সাজা দিয়েছে। সৌদিতে লেডি আল কায়দা নামে পরিচিত হলেও তার নাম হাইলা আল কাসের আল কাসের।

এই নারী ভিবিন্ন সময় আল কায়দার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থের যোগান, সামরিক বাহিনীর সমাবেশে বোমা হামলার চেষ্টা, যুদ্ধ অঞ্চল দিয়ে সরকারের অনুমতি না নিয়ে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা, কারাগার থেকে পালানো ও বিদেশে গিয়ে যুদ্ধ করার চেষ্টার কারণেই তাকে এই সাজা দেওয়া হয়। হাইলা আল কাসের এই নারীই সৌদির প্রথম নারী অপরাধী যিনি সন্ত্রাসী আল কায়দার সদস্য হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হলেন। এবং দীর্ঘ মেয়াদের সাজা পেলেন।

সাজাপ্রাপ্তা এই আল কায়দা নারী সদস্য আদালতে তার নিজের ভুল শিকার করে দুঃখ প্রকাশ করে করেছেন। তিনি বলেন , আমি ভুল আদর্শে নিজেকে জড়িয়েছিলাম। ভুল প্রচারণায় ব্রেইন ওইয়াস মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলাম। সৌদির বিচার বিভাগ আমার প্রতি সহনশীলতা দেখিয়েছে। আমি মনে করেছিলাম আমার অন্তত ৩০ বছরের কারাদন্ড হবেই। কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা সম্পর্কে কাসের বলেন, আমি শুনেছিলাম কারাগারে আল কায়দার নারীদের ধর্ষণ করা হয়। আমার মুখ থেকে সত্য তথ্য বের করা হতে পারে একথা ভেবে ধর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যই পালাতে চেয়েছিলাম।

আল কায়দা এক টি সন্ত্রাসী জঙ্গি গুষ্টি তারা আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছিল। দেশ ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আল কায়দা আমাকে ভুল তথ্য দিয়েছিল। কাসের আরো বলেন, আমাকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল আল কায়দা। বিচারের রায় শোনার পরে আর কান্না রাখতে পারিনি। আমি যে সন্ত্রাসী সংগঠনের পথ বেছে নিয়েছিলাম তা সঠিক ছিল না। সাজা ভোগ করে আমাকে তার মূল্য দিতে হবে। এই সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়ে আমি আমার যৌবনকে হারিয়েছি। আমার কন্যাকে হারিয়েছি ,স্বামী কে হারিয়েছই আমার কন্যা হারিয়েছে তার মাকে। স্বামী হারিয়েছে তার স্ত্রীকে। আমি ভুল করেছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.