ঋণপত্র বিক্রি শুরু করবে সৌদি আরব

0

মোরশেদ রানা, সৌদিআরব: আগামি ২০১৬ ইং সালের শুরু থেকেই ঋণপত্র বিক্রি শুরু করবে বিশ্ব তেলবাজারের অন্যতম শাসক দেশ সৌদি আরব।

সম্প্রতি সৌদি আরবে বাজেট ২০ শতাংশের মত ঘাটতি দেখা দিয়েছে তাই বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণপত্র বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবরে জানানো হয়েছে।

খবরে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে এক বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকার মুদ্রায় ৭ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা(প্রায়) থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের বা ১৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা(প্রায়) মধ্যে দশ বছর মেয়াদী বিদেশি ঋণপত্র ছাড়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

যদিও এর আগে চলতি বছর আগস্ট মাসে খবর প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ ঋণপত্র বিক্রি থেকে ২৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ ১০ হাজার ২২৪ কোটি টাকা(প্রায়) বেশি আয় করতে চায় সৌদি আরব। তবে তখন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি সরকার।

ঋণপত্র হলো নির্দিষ্ট সময়ে জন্য এক ধরনের বিনিয়োগ ব্যবস্থা, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ঋণদাতাকে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর করা দলিল হস্তান্তর করা হয়। বিভিন্নখাতে খরচের অর্থ জোগানে কোনো দেশের সরকার বা কোনো এলাকার স্থানীয় প্রশাসন এ ঋণপত্র ছেড়ে থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এটি ছাড়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন মেয়াদের হতে পারে এ ঋণপত্র। এই ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট সময় পর মুনাফাসহ ঋণদাতাকে তার অর্থ ফেরত দেয় কর্তৃপক্ষ।

পূর্ববর্তী হিসাবগুলো বলছে, সৌদি আরবের অর্থনীতির ৯০ শতাংশেরজোগান আসে তেল রফতানির মাধ্যমে। কিন্তু ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে তেলের দরে পতন দেখা দেয়। ব্যারেল প্রতি একশ ডলার বা ৭ হাজার ৮৩২ টাকা থেকে খাড়া পতনে ২০১৫ সালের আগস্ট মাস নাগাদ এ দর ৪২ ডলারে বা ৩ হাজার ২৮৯ টাকায় নেমে যায়।

অপরদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্ব দ্বন্দ্ব, আন্তর্জাতিক তেল বাজারে প্রভাব বজায় রাখা, সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে সৌদিআরবের রাজস্ব বাজেটে ঘাটতির আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। গত আগস্ট মাসেই আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) আশঙ্কা প্রকাশ করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.