দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক :: আর্থিক খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রকল্পের মেয়াদ নিয়ে ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়ে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে রিটার্ন দেরিতে আসে। ফলে সঠিক সময়ে রিটার্ন নিয়ে ব্যাংকগুলোকে বিপাকে পড়তে হয়। ৫ বছরের সঞ্চয় নিয়ে ১০ বছরের বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোর জন্য অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদি সঞ্চয়ের মতো দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় স্কিম বাড়াতে হবে। আর এ লক্ষে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শনিবার রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসনে বাংলাদেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ: দ্য লিপ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ সেমিনারে দেশি-বিদেশি ব্যাংকাররা অংশ নেন।

গভর্নর বলেন, প্রচলিত পেনশন ও প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের আওতায় আনা যায় কি না সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোচনা চলছে। এছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (রেমিট্যান্স) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আওতায় আসে না। এ অর্থ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের আওতায় আনা যায় কিনা সেটিও ভাবা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমরা ইতোমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফান্ড গঠন করেছি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে নিজস্ব অর্থায়নে আরও ২০০ মিলিয়নের ফান্ড করা হয়েছে; যেটি কিছুটা হলেও ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষরা কাটাতে সহায়ক হবে।

গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক খাতের সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে পেমেন্ট সিস্টেমকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে জানিয়ে আতিউর রহমান বলেন, সম্প্রতি পেমেন্ট সিস্টেমকে গতিশীল ও আধুনিকায়ন করতে আমরা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) চালু করেছি; যেটি আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেমের জন্য একটি মাইল ফলক। এতে করে আর্থিক খাতের ওপর দেশের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এখন বেশি আস্থা এবং বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন।

এবিবির চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান প্রশান্ত রঞ্জিত। এছাড়া ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের বিজনেস কনটিউনিটির আঞ্চলিক প্রধান জসুয়া জেমস।

সেমিনার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী ও আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কে. মাহমুদ সাত্তার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.