বাংলাদেশে ডিজিটাল হল মাত্র দুটি

0
স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি সিনেপ্লেক্সের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত
এখন কোন কাজে ব্যস্ত আছেন?
বিশ্বের ১২০টি হলে একসাথে মুক্তি পাচ্ছে হলিউড ছবি ‘ফার্স্ট এন্ড ফিউরিয়াস সেভেন’। ছবিটি একই দিনে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেপ্লেক্সের পর্দাতেও। আজ ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল থেকে শো’টি দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হবে। এখনকার সকল ব্যস্ততা এই ছবিকে ঘিরেই।
বাংলাদেশে ডিজিটাল হল বাড়ছে না কেন?
বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল হল দু’টি। হল দু’টি হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স এবং ব্লকবাস্টারস সিনেমাস। যদিও এখন কয়েকটি হলকে ডিজিটাল বলা হলেও দেশে ডিজিটাল হল মাত্র দু’টি। ডিজিটাল হলে ডিসিপি মেশিনের মাধ্যমে ছবি প্রদর্শিত হয়। এর সুবিধা হল, যে ফরম্যাটে ছবিগুলো মুক্তি দেয়া হচ্ছে আমরা সেই ফরম্যাটেই ছবি প্রদর্শন করতে পারি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অরিজিনাল ডিসিপি মেশিন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই এখনও ডিসিপি মেশিন সব হল মালিকদের হাতের নাগালে আসতে পারেনি।
প্রযোজকদের হাতে কেমন লাভ আপনারা তুলে দিতে পারেন?
প্রযোজকদের হাতে অর্ধেক অর্থ তুলে দেয়ার রেকর্ডও আমাদের আছে। তবে এটা নির্ভর করে ছবির ওপর। সিনেপ্লেক্সের দর্শকরা যেমন ছবি দেখেন সে রকম ছবি হলে প্রযোজকরা লাভবানই হন।
সরকার থেকে নির্দেশে ৭০ভাগ বাংলা ছবি প্রদর্শনের কথা বলা হলেও আপনারা বিদেশি ভাষার ছবিই বেশি প্রদর্শন করেন। কেন?
সরকারি এই নির্দেশমালা সম্পর্কে সিনেপ্লেক্স অবগত। আসলে যখন সিনেপ্লেক্সের পথচলা শুরু হয় তখন বাংলা ছবির অবস্থা ভালো ছিল না। বাংলা ছবিতে তখন অশ্লীলতা চলছে। নীতিগত দিক থেকেই এসব ছবি প্রদর্শন থেকে আমরা বিরত থাকি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সমাজের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অংশ যারা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। আমরা চেয়েছি তাদেরকে হলে ফিরিয়ে আনতে, এবং এদিক থেকে চিন্তা করলে আমরা সফল। আমরা সাধারণত অ্যাবসট্রাক্ট ছবি প্রদর্শন করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই ঘরানার ছবির দর্শক তৈরি হয়ে গেছে। তাই দর্শকের চাহিদা অনুযায়ীই আমরা ছবি প্রদর্শন করে থাকি।
সিনেপ্লেক্সে যেসব বাংলা ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে সে সব কি দেখে নির্বাচন করা হয়ে থাকে?
আগেই বলেছি দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ছবি প্রদর্শন করে থাকি। অনেক সুপরিচিত পরিচালক আছেন যাদের ছবি আমরা প্রদর্শন করতে পারিনি। কারণ দর্শকের কাছে সিনেপ্লেক্সের একটি ইমেজ তৈরি হয়েছে। এছাড়া অনেক ছবি আছে যেগুলো মুক্তির আগে দর্শকরা আমাদের মেইল অথবা কাউন্টারে জিজ্ঞেস করেন কবে ছবিটি হলে আসছে। এভাবেই আমরা দর্শকদের আগ্রহ অনুধাবন করতে পারি।
মাঝে জাজের ছবি আপনারা প্রদর্শন করেননি। কেন?
একটা কথা পরিস্কারভাবে বলতে চাই যে কারো সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। সিনেপ্লেক্সের দর্শক যে ধরণের ছবি পছন্দ করেন সেই ধরণের ছবিই আমরা প্রদর্শন করে থাকি। তারপরেও সাম্প্রতিক সময়ে আমরা জাজের বেশ কিছু ছবি প্রদর্শন করেছি। যেমন অগ্নি, রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট ইত্যাদি।
ভবিষ্যতে সিনেপ্লেক্স কি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসবে?
ইতোমধ্যে আমরা সহ-প্রযোজক হিসেবে টিভিতে কাজ করেছি। আপনাদের জন্য সুখবর সামনে সিনেপ্লেক্সকে ছবি প্রযোজনাতেও দেখা যাবে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি আগামী বছরেই সিনেপ্লেক্সকে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় দেখা যাবে।
সুত্রঃ দৈনিক  ইত্তেফাক
এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.