উখিয়া থাইংখালীতে বালি উত্তোলনের মহোৎসব, পরিবেশ বিপর্যয়

0

উখিয়া প্রতিনিধি, (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্ত ইউনিয়ন পালংখালীর থাইংখালী খালে ইজারা সীমানা অতিক্রম করে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে, এতে করে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী । অভিযোগে আরো জানা যায় চিহ্নিত বালি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। খোদ,আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে এ বালি বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত তেলখোলা, বটতলী বাজার, থেকে থাইংখালী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার খালের প্রায় ১৬ টি পয়েন্টে ডিজেল চালিত মেশিনের সাহায্যে নির্বিচারে অবৈধ ভাবে বালি উত্তলনের ফলে খাল সংলগ্ন প্রায় ২ শতাধিক একরের মতো ফসলী জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

গত ক’দিন অবৈধ বালি উত্তোলনের স্পটে সরেজমিন ও অভিযোগ শোনা যায়  স্থানীয় তাজনিমারখোলা নামক এলাকার মাইক গফুরের পুত্র আব্দুর রশিদ, মৃত তুরালীর পুত্র এজাহার মিয়া, সিকান্দর , শফিকুর রহমানের পুত্র মনিয়া, জাফর আলম জুনু,  বালুখালী এলাকার বালু ভুট্রো ও আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী সোনালী ও পালংখালী ফারিরবিল গ্রামের মৃত সিকান্দরের পুত্র মোঃ মিজান একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হুদা মেম্বারের পুত্র মোঃ রায়হান সহ ১৫ জন বৃহত্তর সিন্ডিকেট তৈরি করে ডিজেল চালিত মেশিনের সাহায্যে  অবৈধভাবে বালু প্রতিদিন উত্তোলন করছেন। স্থানীয় তথ্যসূত্রে থাইংখালী খাল থেকে তেলখোলা বটতলী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার খালের ১৬ টি পয়েন্টে দৈনিক দেড়হাজারেরও অধিক পরিমান ডাম্পার ভর্তি বালি উত্তোলন করছেন। প্রতি গাড়ী ১৭ শত টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সরকারী ইজারা ডাকের সীমানা অতিক্রম করে অবৈধ বালি বিক্রির টাকার একটি অংশ স্থানীয় বন বিট কর্মকর্তা উখিয়ার ঘাট বিট কর্মকর্তা মোবারক আলী, বালুখালী হাইওয়ে পুলিশের ক্যাশিয়ার বারেক, ও স্থানীয় কথিত এক জনপ্রতিনিধিসহ ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার কারনে এলাকার কোন ব্যাক্তি তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস পাচ্ছেনা।  অবৈধ বালি উত্তোলনের কারণে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার  ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক চাকমা বলেন, এলাকার অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের অবাদে বালি উত্তোলনের ফলে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে উক্ত সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, বর্তমানে উক্ত অবৈধ বালি কেখোদের তান্ডবের কারনে এলাকার প্রায় ৮ শতাধিক পরিবারের বসত ভিটা হারানোর উপক্রম দেখা দেওয়ার পাশপাশি শত শতএকর ফসলী জমি বিলীন হয়ে এলাকার সাধারন মানুষ ভুমিহীন হয়ে পড়ছে বলে জানান ইউপি সদস্য মানিক চাকমা। আর এতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন প্রকার নজরধারী নেই বলে জানান এলাকাবাসীরা।

অভিযুক্ত মোররক আলী সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় ভক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুর উদ্দিন মোঃ শিবলী নোমান বলেন, অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.