মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ট সন্তান, তাদের অবদানের কারণে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বর্তমান সরকার অনেক চিন্তা করেন। তাই এই সরকার মুক্তিযোদ্ধোদের সম্মানি ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বর্তমান সরকার বাংলাদেশের ৪২২ টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা বিশে^র কোন রাষ্ট্র এখনো করে নি। আমরা আশা করি এই প্রকল্প আমরা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো।
শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ ও স্থান নির্বাচন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সচিব এম এ হান্নান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড রবাট রোনল্ডে পিন্টুসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, প্রকৌশলী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, রাঙামাটিতে আমরা ৫টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা কথা ভাবছি। যার মধ্যে ৪টি করার কথা আমরা ইতি মধ্যে সম্পূন্ন করেছি। এগুলো হলো বাঘাইছড়ি ১টি, কাপ্তাই ১টি, কাউখালি ১টি এবং রাঙামাটি সদরে ১টি। বাকি ১টি লংগদুর করার কথা রয়েছে।
মতবিনিময় সভার আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়ের সচিব এম এ হান্নান রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি স্থাপিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করেন।