আমিরের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল জঙ্গিরা

0

ঢাকা : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক জেএমবি সদস্যরা নিজেদের ‘দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ’-এর সদস্য বলে দাবি করেছে। আর এই সংগঠনের সদস্যরা গুলশানে হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠের পাশে এবং মাদারীপুরে কলেজশিক্ষকের ওপর হামলা পরিচালনা করে। বুধবার দুপুরে র‍্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানান। এ ছাড়া র‍্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও এ কথা বলা হয়েছে।

র‍্যাবের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আপনারা জানেন ‘আত-তামকীন’ জেএমবি কর্তৃক পরিচালিত একটি জঙ্গি ওয়েবসাইট। জঙ্গিরা তাদের বিভিন্ন হামলার সংবাদ ও ছবি ‘আত-তামকীন’ সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এ ছাড়া এ সাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রচার-প্রসারের জন্য আইএস কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন হামলার সংবাদ বাংলায় অনুবাদ করে নিয়মিত প্রচার করে থাকে।

র‍্যাব জানায়, অতিসম্প্রতি জেএমবির দুটি গ্রুপ দাওলাতুল ইসলামের ব্যানারে হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় নাশকতা সংঘটিত করে। পরবর্তী সময়ে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত নিয়ে কাজ শুরু করে র‌্যাব। এরপর র‌্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারে, জেএমবির এ রকম আরো বেশ কিছু গ্রুপ নাশকতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে এবং যেকোনো স্থানে তারা নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। এমন সংবাদে র‌্যাব ৪-এর একটি দল ৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জাহিদ আনোয়ার ওরফে পরাগকে (২২) আটক করে। পরে পরাগের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো দুটি অভিযান চালায় র‍্যাব। রাত ২টায় গাবতলীর আল-আরাফাত খাবার হোটেল থেকে মো. তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুল (২৯) ও জাহিদ হাসান ওরফে মাঈনকে (২১) আটক করা হয়। এরপর পরের দিন মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের উত্তর বিসিলের একটি ভাড়া বাসা থেকে দাওলাতুল ইসলামের মুখপাত্র ও ‘আত-তামকীন’ সাইটের অ্যাডমিন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত (২৭), মো. জিয়াবুল হক ওরফে জিয়া এবং মো. নয়ন হোসেনকে আটক করে র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, এদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের মধ্যে পাঁচজন জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর একজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের। এরই মধ্যে তারা আত্মঘাতী হামলার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। সেই সঙ্গে তাদের আমিরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় নাশকতার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। এছাড়া অনুসন্ধানে এই দলে নারী সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে। তবে বাংলাদেশের এসব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি যোগাযোগের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানায় র‍্যাব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.