দেশের মানুষের বিরোধীতার পরেও সরকার ভারতের স্বার্থে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে : মির্জা ফখরুল

0

সিটিনিউজবিডি : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আক্ষেপ করে বলেছেন, সারা দেশের মানুষের বিরোধীতার পরেও সরকার ভারতের স্বার্থে সুন্দরবনে কয়লা দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এতে নদী মাছ শূন্য ও দক্ষিণাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষায় সরকার জনগণের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না।

তিনি বলেন, অনেক হয়েছে। জোর করে অনেকদিন ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন। আর নয়। এখন দেয়ালের ভাষা পড়ুন। জনগণের মুখের ভাষা দেখুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে জণগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন। না হলে এদেশের যে অতীত ইতিহাস, মানব সভ্যতার ইতিহাস আমরা সবাই জানি- কোন দিনই কোন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ জোর করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা তৈরি করা হচ্ছে। জনগণের শক্তির কাছে কোন যড়যন্ত্রই ঠিকে থাকতে পারবে না।

তিনি শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়ায় এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব কাজী জাফর আহমেদের কবর জিয়ারত এবং পারিবারিক মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ নেন।

তিনি আরো বলেন, জনগণের রায় নিয়ে সরকার ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনের নামে তারা ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি বানিয়েছে। শতকরা ৫ জন মানুষও তাদের ভোট দেয়নি। ৭২ থেকে ৭৫ সালে ছেলে কর্তৃক পিতার মাথা কেটে ফুটবল খেলার ইতিহাস আমরা ভুলে যাইনি। তারা গান পাউডার দিয়ে বাসের ১১ যাত্রীকে পুড়িয়ে মারে। সরকার ইতিহাস ভুলে গিয়ে আমাদের ১ হাজার ভাইকে হত্যা, ৫শ’ সহকর্মীকে গুম ও হাজার হাজার ভাইকে পঙ্গু ও প্রত্যেকের নামে ১০-১৫টি করে মামলা দিয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা সরকার কব্জায় নিয়েছে। এখন আর তারা যা দেখে তা লিখতে পারে না। সাগর-রুনিসহ ২৯ জন সাংবাদিক হত্যার বিচার এখনও হয়নি।

জাতীয় পার্টির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাপার (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাগপার চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, ন্যাপের মো: ফরহাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল আনোয়ারুল আজিম, কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। এসময় কুমিল্লা জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.