চন্দনাইশে জব্বার চৌধুরী আ’লীগে ফিরছেন!

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : চন্দনাইশ উপজেলার পর পর দু’বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উপজেলা আ’লীগে যোগদান করছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী কর্তৃক আয়োজিত চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা সভায় যোগদান করার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

আবদুল জব্বার চৌধুরী ১৯৭৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালে গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৮৫ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে গাছবাড়ীয়া কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে জি.এস নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বিএনপির তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্নেল অলির হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে কর্নেল অলি বেরিয়ে এলডিপি প্রতিষ্ঠা করেন।

সে থেকে জব্বার চৌধুরী এলডিপি’র গণতান্ত্রিক যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, পরবর্তীতে সহ-সভাপতি, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় এলডিপি’র যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে এলডিপি’র সমর্থন নিয়ে প্রথম, ২০১৪ সালে একই দলের মনোনয়ন নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে এলডিপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কর্নেল অলির ভাতিজা মো. আয়ুব কুতুবীর পক্ষে কাজ না করায় ৩১ ডিসেম্বর এলডিপি’র সকল পদ-পদবী থেকে বহিস্কার হন জব্বার চৌধুরী।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর উদ্যোগে প্রথম বারের মত নৌকা নিয়ে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা সভা গাছবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত সভায় এলডিপি থেকে বহিস্কৃত উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী আ’লীগে ফিরছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
এ ব্যাপারে আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেছেন, সময় কথা বলবে। এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, দু’একদিন আগে আবদুল জব্বার চৌধুরী তার যোগদানের বিষয়ে তাঁর সাথে কথা বলেছেন এবং তাঁকে অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে থাকার আহ্বান করেছেন। তিনি সে সময় বলেন, জেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের বাইরে থাকায় এ মুহুর্তে যোগদান অনুষ্ঠান করা সঠিক হবে না। তাছাড়া দলে যোগদানের জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ভাল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেছেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার সাথে কেউ আলাপও করে নাই। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীও আমাকে কিছুই জানায়নি। বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সভাপতি দেশের বাইরে। এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত পায়নি। তাই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন বলে মনে করি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.