মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : আকাশ জুড়ে হাজারো তারা দেখা যায়, অনেক সময় সে তারা গুলো ছোটাছুটি করে পুরো আকাশ জুড়ে। ঠিক তেমনি আকাশে ভাসমান অন্য এক তারার মত দেখতে ফানুশ।
মাঝে মাঝে আকাশে উড়তে থাকা ফানুশকেও তারা বলে মনে করা হয়। এই ফানুশ উড়ানো হয় বিভিন্ন পূর্নিমার রাতে।
বেশিভাগ সময়ে পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারিরা এই ফানুশ উড়িয়ে থাকে। ফানুশ উড়ানোর মধ্যে দিয়ে এক অন্য রকম আনন্দ উপভোগ করে তারা।
পাহাড়ি নারী-পুরুষ এক সাথে দ্বিতীয় তারার মত দেখতে এই ফানুশকে আকাশের বুকে উড়িয়ে দেয়। যার মধ্যে দিয়ে তারা পূর্ণিমার রাতকে আরো আলোকিত করে তুলে।
এই ফানুশ তৈরি করতে লাগে চাইনা কাগজ (একজাতীয় কাগজ), বাঁশের লাটি, সুতা ও মোম। এই উপকরণ গুলো দিয়ে তৈরি করা হয় ফানুশ।
ফানুশ তৈরিতে চায়না কাগজ (এক জাতের কাগজ) যে ভাবে ডিজাইন করা হয় ঠিক তেমনি ভাবে ফানুশের আকৃতি তৈরি হয়। মাছ, হাতি, ঘুড়ি, র্তীরসহ বিভিন্ন ডিজাইনের এই ফানুশ তৈরি করা হয়ে থাকে।
ফানুশ তৈরি করার এক কারিগর হচ্ছে পলাশ চাকমা, তিনি জানান, আমি আজ র্দীঘ দিন ধরে এই ফানুশ তৈরি করে আসছি। আমরা বেশির ভাগ সময়ে প্রবারণা পূর্নিমার আগে এই ফানুশ তৈরি করে থাকি।
এছাড়াও বিভিন্ন পূর্নিমার রাতের জন্য আমরা ফানুশ তৈরি করি। একটি ফানুশ তৈরি করতে ২৫০-২৮০ টাকার মত খরচ হয়। ফানুশের আকার অনুসারে আরো বেশি খরচ হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে ফানুশ তৈরি করি তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রয় করে থাকি। তবে এটা আমাদের প্রতিদিনের ব্যবসা নয়। বছরে সাধারণত এক দুই বার আমরা এই ব্যবসার কাজ করে থাকি।
ফানুশের ছোটাছুটি দেখতে যেমন ভালো লাগে, ঠিক তেমনি এই ভাবে মানুষের মনটাকে আকাশে বুকে উড়িয়ে দিয়ে চাঁদের আলোয় পূর্ণ আকাশ দেখে মন মুগ্ধ হয়ে যায়। পূর্নিমার রাত আরো সুন্দর থেকে সুন্দর হয়ে উঠে ফানুশের আলোয়।