কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ডের ভূমি অফিসের চেহারা পাল্টে গেছে। আগের মত নেই মানুষের ভীড়। হচ্ছে না হয়রানীর শিকার। কাজে এসে মানুষকে বসে থাকতে হচ্ছে না ঘন্টার পর ঘন্টা। অফিসে নয় জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন অফিসের বাইরে টেবিল নিয়ে বসে এসিল্যান্ড মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আগে যেখানে মানুষ ভূমি অফিসে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হতো। দিনের পর দিন গিয়েও যেখানে কাজ হতো না বরং হয়রানির শিকার হতো সেখানে এখন তাৎক্ষণিক মানুষের সমস্যার কথা শুনে সিদ্ধান্ত কিংবা সমাধান দিচ্ছেন তিনি।
গত ১৩ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগ দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন। তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকেই পরিবর্তন ঘটে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসে। প্রবর্তন করেন গণশুনানির। অভিযোগ, অনুযোগ, হয়রানি, বিভিন্ন আবেদন, সই মুহুরি নকল, নামজারি খতিয়ানসহ নানা বিষয়ে সমস্যায় পড়া দৈনিক প্রায় ৭০ জন মানুষের কথা শোনেন।
অসহায় ভুক্তভোগী মানুষের কথা শুনে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সমাধানও দেন। তাছাড়া উপজেলার সাধারণ মানুষদের ভূমি অফিস নিয়ে সৃষ্ট আতঙ্ক ও ভয় দূর করতে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি অফিস সংক্রান্ত একটি পরিপত্র ফেস্টুন ও লিফলেট আকারে ছাপানো হয়। এর মধ্যে জনবহুল স্থানে সাঁটানো হয়েছে রঙিন ফেস্টুন। ৫ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয় উপজেলার বাজারে বাজারে।