সিএমবিএ আয়োজিত ‌‌‘‘হ্যালো টুমোরো’’

0

আবছার উদ্দিন অলি : এখন সময় তরুণদের, এখন সময় নতুনদের। ব্যান্ড মানে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, ব্যান্ড মানে চট্টগ্রাম। সময়ের ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামে এখনো ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে। এই সাফল্যময় পথচলাকে গতিশীল করে তুলেছে চট্টগ্রাম মিউজিকাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন। হ্যালো টুমোরো অনুষ্ঠানে পুরো শিল্পকলা একাডেমী জুড়ে দর্শকদের উপস্থিতি উৎসাহিত অনুপ্রাণিত করেছে ব্যান্ড দল গুলোকে। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও এই সরগরম সিএমবিএ’র আগামীর পথচলাকে গতিশীল করে তুলবে নি:সন্দেহে। সুন্দর ও ভালো কাজে দর্শকদের অংশগ্রহন এবং মূল্যায়ন সত্যিই আনন্দের বিষয়, গর্বের বিষয়। এখানেই সিএমবিএ’র স্বার্থকতা। পুরো অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিএমবিএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

চট্টগ্রাম মিউজিকাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন (সিএমবিএ) হ্যালো টুমোরো। শিরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী বর্ণাঢ্য আয়োজন করলো চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে। ২৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩০মিনিটে উদ্বোধন হওয়ার ঘোষণা থাকলেও ঝড় বৃষ্টি এই আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করে তুলে। তবুও মানসিকতা আর সাহসিকতা দুয়ের সমন্বয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। থেমে যায় ঝড় বৃষ্টি মেঘ। সমাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সিএমবিএ প্রতিবছর তিনটি কনসার্ট করে থাকে। আর তারই অংশ বিশেষ হিসেবে এই আয়োজন।

সিএমবিএ’র এই প্রাণবন্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজাদী’র পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বারকোড এর স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহযোগি সম্পাদক কবি কামরুল হাসান বাদল, সিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা সুব্রত বড়–য়া রনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সিএমবিএ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সেলিম জাহান।

হ্যালো টুমোরো কনসার্টে অংশগ্রহন করেন ব্যান্ড দল বে অফ বেঙ্গল, জলরঙ, মানবিক, রানওয়ে, স্টোন, শূন্যস্থান, সোল্ডারস এবং তীরন্দাজ। নতুনদের পরিচয় করে দেয়া আগামী দিনের কথা বলা, তারুণ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হ্যালো টুমোরো’র লক্ষ্য, আদর্শ, উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ব্যান্ড সংগীতের তীর্থস্থান। এখানে দেশের নামি দামি ব্যান্ড তারকার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ব্যান্ড সংগীতে চট্টগ্রামের যে অবস্থান তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে উৎসাহ যোগাবে এই আয়োজন। আর আয়োজনকে সফল ও স্বার্থক করতে সার্বিক সহযোগিতা করছে এলিট পেইন্ট গ্র“প অব কোম্পানীজ। নতুন নতুন কর্ম আরা পরিকল্পনা নিয়ে সিএমবিএ’র এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। দীর্ঘ সময় শিল্পকলায় উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করে দর্শকরা খুশী মনে ঘরে ফিরেছেন। আর এখানে আয়োজনের বড় প্রাপ্তি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.