মেসিদের হারিয়ে অভিশপ্ত মাঠেই শাপমোচন ব্রাজিলের

0

এই সেই মাঠ৷ বছর আড়াই আগে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এখানেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ানরা৷ নিজেদের সোনালী ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে অভিশপ্ত ম্যাচটি খেলেছিল পাঁচবারের বিশ্বজয়ীরা৷ জার্মানির কাছে গোলে মালা পড়েছিলেন দিয়েগো সিলভারা৷ এবার মাঠেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩-০ গোলে চূর্ণ করে শাপমোচন করলেন সাম্বা তারকারা৷ অভিশপ্ত জার্মান ম্যাচে নেইমার চোটের জন্য খেলতে পারেরনি৷ এদিন তিনি খেললেন, গোল করলেন৷ এবং দলকে জেতালেন৷ নেইমারের ৫০ গোল, ৩০ অ্যাসিস্ট, ৭৪ ম্যাচে!

১০৩ ম্যাচে ব্রাজিল এখন চিরশত্রুতার ইতিহাসে ৪০-৩৮ এগিয়ে!

ব্রাজিল একে, আর্জেন্তিনা ছয়ে! রইল বাকি সাত ম্যাচ করে। মেসির কাজটা খুবই কঠিন। কারণ, এই ম্যাচে নীল-সাদা জার্সিতে লিওনেল মেসি ফিরলেও, ফিরল না আর্জেন্তিনার ভাগ্য৷

কোচ তিতের হাত ধরে এবং তাঁর সাহসে ভর করে ব্রাজিলের তরুণ দলটি সাফল্য চূড়ার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ১২ মিনিটে ১৩ ফাউল দিয়ে শুরু ম্যাচটি প্রথমে যে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছিল, মুহূর্তেই সেটি বদলে গেল। ২৩ মিনিটে লুকাস বিলিয়ার সৌজন্যে ম্যাচে প্রথম গোলে শট। আর্জেন্তিনার চিনিয়ে দেওয়া গোলমুখটা খুব ভালোভাবে খুলে ফেলল আসলে ব্রাজিলই। ২৫ মিনিটে কুতিনহোর গোলে প্রথম এগিয়ে যাওয়া। প্রথমার্ধের শেষে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নেইমারের ৫০ তম গোল স্কোরটাকে করে ফেলল ২-০।

সার্জিও আগুয়েরোকে বসিয়ে রাখার ভুলটা শুধরে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ইতিবাচক শুরু করল আর্জেন্তিনা। কিন্তু দুই গোলে পিছিয়ে থাকা আর্জেন্তিনার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষীণতম সম্ভাবনা দ্রুতই মুছে ফেললেন পাওলিনহো। ৫৫ মিনিটে তাঁরই শট গোলরেখা থেকে ফিরিয়েছিলেন পাবলো জাবালেতা। তিন মিনিট পরেই সেই বকেয়া গোলটি তুলে নিলেন পাওলিনহো। ব্রাজিলের পক্ষে ৩-০!

কপাল ‘ভালো’ আর্জেন্তিনার, আরও গোটা দুই গোল খায়নি! ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের ইতিহাসে সবচেয়ে একতরফা ম্যাচগুলোর একটির মধ্যে এই ম্যাচটিও থাকবে৷

এখনও বাছাই পর্বে সাতটি ম্যাচ বাকি আছে। এখনও ২১ পয়েন্টের হিসাব বাকি। কিন্তু চার দিন পর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার জন্য এক অর্থে ডু অর ডাই! পরিস্থিতি না বদলালে, কে জানে, হয়তো ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর আবারও আর্জেন্তিনাকে ছাড়াই দেখতে হবে বিশ্বকাপ! মেসিহীন বিশ্বকাপ!

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.