আসল মুক্তিযোদ্ধা উপেক্ষিত, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্থান পেতে মরিয়া

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::মহেশখালিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাইয়ের জন্য ঘঠিত কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।অনেকে সঠিকভাবে যাচাই বাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রশ্ন ও তোলেন।মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী রাজাকার সদস্য ও অমুসলিমদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এমনকি উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথম যাচাই বাচাইকৃত রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার মাধ্যমে করার দাবি ও জানান জনপ্রতিনিধিরা।

এমনও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে,দীর্ঘদিন যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকারের তালিকায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রদান করা হলে,কমিটি তা রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে গেছে ।  প্রক্রিয়াদি পরিকল্পিত বা সাজানো বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

যুদ্ধের সময় অনেকে ভারত আর মিয়ানমারে অবস্থান করেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান নিয়েছে। আবার যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে নিতে যুদ্ধ শেষ হয়েছে এমন লোকও নাকি স্থান পাচ্ছে বা পাচ্ছেনা।

মাতারবাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা , স্বাধীনতা সনদ প্রাপ্ত রমিজ উদ্দীনের বিষয়ে ও নাকি নীরব বাচাই কমিটি। দুইবার সে মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেও মহেশখালি যাবাই বাচাই তালিকায় স্থান হয়নি বলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার আজ হতাশায়।

এবিষয়ে আমাদের প্রতিবেদক মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার রমিজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৩৪ জনের বাচাই শেষে তালিকায় কার নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি কেনো তার সঠিক তথ্য তিনি জানেন না। এমনকি সাংসদ ও চেয়ারম্যান ও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে ধলঘাটার  মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংঘটক, যিনি যুদ্ধের মাঠে মুক্তিবাহিনীদের সর্বাত্মক অস্ত্র যোগান সহ সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন  প্রয়াত আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ চোধুরী চেয়ারম্যানের কোন তথ্য সংযোজন করা হচ্ছেনা বলে জানান সুশীল সমাজের অনেকে। যিনি আপন ছোট ভাই জহিরুল ইসলামকে যুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য সাহস যুগিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে মহেশখালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যাচাই বাচাই বমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাচাই তালিকার কাজ সম্পুর্ন করা হচ্ছে তবে মন্ত্রনালয়ে যারা আবেদন করেছে তাদের তালিকা অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে বলে জানান। নতুন করে কোন মুক্তিযোদ্ধার আবেদন যাচাই বাচাই করার কোন নির্দেশনা পায়নি বলে জানান তিনি।

গত ২১শে জানুয়ারীতে মহেশখালিতে যাচাই বাচাই সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়,২০১৪ সাল থেকে বাচাই পূর্ব কালিন ঘোষিত সময়ে ৬৮জন আবেদন করে।

কিছু আবেদন ফরম অনলাইনে এবং আর কিছু আবেদন পত্র সরাসরি দাখিল করে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটি আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই বাচাই করে চুড়ান্ত ভাবে প্রতিবেদন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করবে বলে জানানো হয়।

জেলা পরিষদ প্রশাসক খানঁ বাহাদুর মোস্তাক আহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাচাই কমিটি গুরুত্বপূণ কাগজ পত্র ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধার জন্য আবেদনকারীদের সাথে সাক্ষাত করেন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে থেকে প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত,সরকারী চাকুরী জীবি,ডাক্তার,নার্স,সেবক সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাদের অবদান রয়েছে তাদেরকে নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভূক্তিকরণ,আবেদনকৃত,তালিকা ভূক্ত দাবিদার, তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আনিত অভিযোগ নিস্পত্তী করনের নিমিত্তে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ১৯ জানুয়ারী ১৭ইং একটি বিজ্ঞপ্তী জারি করে যা উপ সচিব মো: মাহাবুব রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.