সিটিনিউজবিডিঃ রোববার সিনাইয়ের জঙ্গি ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে মিশরের সেনাবাহিনী। ওই হামলায় ৬৩ জন জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স । মুসলিম ব্রাদারহুড দলের সমর্থক বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরুসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর থেকেই মিশরীয় সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসলামিক জঙ্গিরা। সম্প্রতি দেশটিতে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় ধরণের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার শেইখ জুবেইদ এবং রাফা শহরের মধ্যবর্তী গ্রামগুলোতে হামলা চালায় সেনারা। সেখানে তারা জঙ্গিদের চারটি গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে ৬৩ জনকে হত্যা করে। এর মাত্র কয়েক দিন আগেই সিনাইয়ের ছয়টি আর্মি পোস্টে হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘সিনাই প্রভিন্স’ নামের স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওই হামলায় শতাধিক সেনা ও জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এরপরই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। মুরসির পতনের পর থেকেই এই উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্টীগুলোর সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে মিশর এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এই হামলার আগে গত সোমবার কায়রোতে এক গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন মিশরের এক উর্ধ্বতন প্রসিকিউটর। সিনাই হামলার জন্য মিশর সরকার মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ি করেছে। তবে ব্রাদারহুড ওই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। তবে দলটির বিরুদ্ধে নতুন করে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। রোববার পুলিশের হাতে ব্রাদারহুডের আরো ১২ সদস্যের আটক হওয়ার খবর দিয়েছে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্তণালয়। আটককৃতরা মিশরীয় সেনা ও পুলিশ এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জন্য তিনটি সেল গঠন করেছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই দিনে আরো ২২ জনের বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি প্রসিকিউটররা। তাদের বিরুদ্ধে কায়রোর হাইকোর্ট এবং এক সরকারি ভবনে বোমা পুতে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের সরকারি বার্তা সংস্থা মিনা।