বাঁশখালীতে ডাকাতের গুলিতে ডাকাত নিহত

0

বাশঁখালী প্রতিনিধি::বাঁশখালীর পুইছড়ি ইউনিয়নের মাওলা পাড়া এলাকার দুর্ধর্ষ ডাকাত আবদুর রহমান অবশেষে মালামালের ভাগভাটোরা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে বাঁশখালী থানা পুলিশ জানান।

পুলিশ জানায় চাম্বল ইউনিয়নে সোনাইমুড়ি এলাকা হতে আব্দুর রহমান (৭০) নামে গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে দুই ডাকাতদলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে রহমান।

রবিবার অস্ত্র ও লাশ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে চাম্বল ইউপির সোনাইমুড়ি এলাকায় ডাকাতদলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ আব্দুর রহমানের লাশ ও একটি দেশীয় এল.জি পড়ে থাকতে দেখে। ঘটনাস্থল হতে লাশ, অস্ত্র ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে নিহত ডাকাত আব্দুর রহমানের মৃত্যুর খবর নিয়ে এলাকার মানুষদের মাঝে রহস্যের জাল সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পুইছড়ি ইউপি মওলা পাড়া এলাকার মৃত আমির হামজার পুত্র আব্দুর রহমান (৭০) দীর্ঘদিন ডাকাতি ও অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তবে বিগত ৮-৯ বছর পূর্বে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসে। ডাকাতি কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও ছিল।

এদিকে ঘটনার ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম জানায়, শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাদা পোশাকে ৪ ব্যক্তি আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে আসে। সেই থেকে খবর নিতে বাঁশখালী থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা জানান আমার স্বামীকে পুলিশ আটক করেনি। আমার স্বামীর হত্যার আমি সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।

আবদুর রহমানের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে পুইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলতানুল গনি চৌধুরী লেদু মিয়া বলেন, রহমান দীর্ঘদিন দাগী ডাকাত হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায়। তবে বেশ কিছুদিন পূর্বে সে অপকর্ম ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল। প্রতিহিংসা বশতঃ দেশের অপশক্তি এই হত্যাযজ্ঞের মদদ দিয়েছেন বলেও তিনি দাবী করেছেন। আবদুর রহমান কি ভাবে মারা গেছে তা নিয়ে নানা জনে নানা ধরনের কথা বলছে। আমরা চাই এ মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক।

আবদুর রহমানের মৃত্যু ও অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, আবদুর রহমান দক্ষিণ চট্টগ্রামের একজন সুপরিচিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে এবং ১২টি ডাকাতির মামলা। আমরা শনিবার রাতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে গেলেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় এবং সেখানে অস্ত্র গুলি খোসা সহ বেশ কয়েকটি দা ছিল। সে গুলো আমরা উদ্ধার করে তাকে সহ বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.