আপাতত পশুর দাম যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত ক্রেতারা
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি :: আগামী ২ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। অর্থাৎ আর ৫ দিন পরেই মুসলমানদের ২য় বৃহত্তম এ উৎসবকে ঘিরে হাট বাজারে কোরবানীর পশু ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে কোরবানী দাতারা।
চট্টগামের পটিয়ার নতুন থানা হাট, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সহ অধিকাংশ হাটবাজারে গরু, মহিষ ও ছাগলের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেলেও বিক্রয়ের হার ছিল নগন্য। অধিকাংশ ক্রেতা পশুর দাম দেখেই গতকাল বাড়ি ফিরেছে।
এতদিন উত্তর বঙ্গে বন্যার কারণে ভারত থেকে গরু-মহিষ সরবরাহ হঠাৎ থমকে দাড়ালেও এখন ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে গরু-মহিষ নিয়ে আসায় বাজারে পর্যাপ্ত গরু মজুদ হয়েছে মর্মে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছে।
পটিয়ায় গতকাল সর্বোচ্চ ২/৩ লাখ টাকা দামের বেশ গরু চোখে পড়ে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদ-উল- আযহা। এ উৎসবকে ঘিরে উত্তরবঙ্গ হয়ে ভারত থেকে যেমন পটিয়ায় ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু আমদানি করে থাকে, তেমনি কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে মিয়েনমার থেকেও গরু-মহিষ আসে পটিয়ায়।
এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ও সৌখিন কৃষকরা গরু মোটাতাজাকরণ করে ঈদ-উল- আযহায় বেশিদামে তা বিক্রয় করে থাকে। এতদিন ভারতের সীমান্ত পার হয়ে গরু আসার হার ছিল হতাশাজনক। ফলে দেশী গরুর উপর এবারের কোরবানী হবে বলেই অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেছিলেন।
কিন্তু গত দুই দিন ধরে ভারত থেকে প্রচুর গরু-মহিষ বাংলাদেশে আসতে শুরু করায় হাট বাজারগুলো গরু-মহিষের সয়লাব হয়ে গেছে।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা কৌশলে গরু-মহিষের দাম ধরে রাখায় এগুলো বিক্রির হার ছিল হতাশাজনক। অধিকাংশ ক্রেতা বলেন, আমরা আজকে গরু-মহিষ কেনার জন্য এসেছিলাম।
পটিয়ার এক সৌখিন কৃষক মো: নুরুল আবছার জানান, তিনি গত বছর ১০টি গরু মোটাতাজাকরণ করে ২ লাখ টাকার উপরে লাভ করেছিলেন। এবারও তিনি ১৫টি গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
তিনি গত বছর এ গরুগুলো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে প্রতিটি ক্রয় করেন। বর্তমানে তার গরুগুলোর মধ্যে প্রতিটি ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যাবে। যাতে তার খরচ বাদ দিয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
এবার পটিয়ার প্রধানতম দুটি হাট বিশেষ করে নতুন থানাহাট ও পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, সফর আলী মুন্সির হাট, আমজুর হাট, শান্তির হাট, মনসার টেক, কলেজ বাজার, অলির হাটসহ বিভিন্ন হাটে ব্যাপক গরু-মহিষ ও ছাগলের সমাবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কিন্তু ক্রেতারা প্রথম দিকে পশু ক্রয় না করে দর যাচাইয়ের দিকে ব্যস্ত হয়েছেন পড়েছেন বেশি।