সীতাকুণ্ডে পশুর বাজার এখনো ক্রেতাশূন্য

0

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড :: পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে কোরবানীর পশুর হাট। বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০টি পশু হাটে শুরু হয়েছে কোরারবানীর পশু মজুদ।

স্থায়ী বাজারের সাথে উপজেলার নানা স্থানে ঘোষিত-অঘোষিত ছোট-বড় হাট বাজার গড়ে উঠলেও এখনো জমে উঠেনি কোরবানীর হাটগুলো। আরো কয়কদিন পর পুরোদমে শুরু হবে বেচাকেনা।

কোরবানীর গরু ক্রয়-বিক্রয়ে মন্থর হাট,বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠ হাট, শেখের হাট,ভূইয়ার হাট,ফকির হাট, বড়দারগার হাট,ছোটদারগার হাট, মদন হাট,ভাটিয়ারী স্কুল হাট,ফৌজদারহাটসহ অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা লক্ষ টাকায় ইজারা প্রদান করে জেলা পরিষদ।

চাঁদ দেখা যাওয়ার পূর্ব থেকে হাটগুলোকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা শুরু করে গরু মজুদ। কিন্তু হাটগুলোতে দিনে দিনে পশু মজুদ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি নিয়ে শংকায় রয়েছে বিক্রেতারা।

পৌরসদর বাজারের গরু বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন,‘ অর্থনৈতিক মন্দাদশায় পড়ে গরু বিক্রি নেই হাটে। কোরবনীকে কেন্দ্র করে গত এক মাস থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে গরু ক্রয় মজুদ করা হয়েছে।

কিন্তুু কোরবানীর হাট শুরু হলেও বিক্রি নেই। ফলে ব্যায়ের সাথে আয়ের সামঞ্জস্য নিয়ে বিপাকে পড়ার আশন্খা করা হচ্ছে। এছাড়া নানা স্থানে যত্র-তত্র গরু বিক্রি চলতে থাকায় হাটে ক্রেতা আসছে না বলে জানান তিনি।

স্থানীয় কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ থেকে প্রচুর পরিমানে কোরবানী পশু আসায় দেশীয় গরুর চাহিদা দাম যাচ্ছে। ফলে দেশীয় গরু বিষমুক্ত হলেও ক্রেতা নেই বাজারে।

যে কারণে অধিক অর্থ ব্যায়ে গরু মোটাতাজা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিভিন্ন হাটে রোগমুক্ত পশু যাচাই-বাচায়ে কাজ করছে পশু চিকিৎসক এবং জাল টাকা পরীক্ষনে নিয়োজিত রয়েছে ব্যাংক টিম।

পৌরসভার ফকিরহাট বাজারের ইজরাদার এসকান্দর মিয়া বলেন,‘, দেশে পর্যাপ্ত গরুর মজুদ রয়েছে, কিন্তু হাটে কোনো ক্রেতা নেই।

সপ্তাহে দু-একদিন হাটের মধ্যে  হাটের ইজারা মূল্য তোলো আনা সম্ভব হবে না। তবে বেপারীরা গ্রাম-গঞ্জে যত্রতত্র গরু বিক্রি করায় হাটে গরু বিক্রি নেই বলে জানান তিনি।

আর দুই এক দিন পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটে পুরোদমে পশুর বেচাকেনা শুরু হবে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.