জুবায়ের সিদ্দিকী : চট্টগ্রাম রেলওয়ের সব কয়টি বস্তি বর্তমানে আইন জোনে পরিনত হয়েছে। সবগুলো বস্তি মাদকের প্রধান বাজারে পরিনত হয়েছে। বস্তিবাসীদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারাও রয়েছে। নিম্নআয়ের এই বস্তিবাসীর কেউ খুন সহ ভাড়ায় টাকার বিনিময়ে অপরাধে জড়াচ্ছে। এসব বস্তিতে চলে ইয়াবা সহ মাদকের বেচাকেনা। চট্টগ্রামে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ৩০টি বস্তি রয়েছে।
নগরীর কিছু ভূমিদস্যু রেলওয়ের এসব জমিদখল করে বস্তি তৈরী করে ভাড়া আদায় করছে লাখ লাখ টাকা। পুলিশ বা অন্যকোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব বস্তিতে কোন অপারেশন চালায় না।
নগরীর সব দাগী আসামীর নিরাপদ ঠিকানা হচ্ছে রেলওয়ে বস্তি। দেশী-বিদেশী মাদকের প্রধান বাজার রেলওয়ের বস্তি। অপরাধীদের এই ঠিকানায় বসে ডাকাতি, হত্যা ও ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়। এসব বস্তিতে অপরাধ চলাচলেও রেলওয়ে এসব বস্তি উচ্ছেদের কোন উদ্যেগ নেয়না। কারণঃ রেলওয়ের কিছু কর্মচারী-কর্মকর্তাও এসব বস্তির বাড়িওয়ালা।