ওবামার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া যায়নি!

0

সিটিনিউজবিডি :  বাপের দেশ কেনিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাই কেনিয়াজুড়ে তখন সাজ সাজ রব। তাঁর সফর ঘিরে অনেক স্বপ্ন বুনেছে কেনিয়া। কিন্তু তাদের আবেগ বা প্রত্যাশা নিয়ে ওবামা কতটা ভেবেছেন, এ হিসাব মেলানোর সময় এসেছে।

দুই মেয়াদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন কিছু পেয়েছে কি না, তা নিয়েও ভাবার অবকাশ রয়েছে।

কেনিয়া সফরের সময় ওবামা অনেক আশার কথা শুনিয়েছিলেন। আফ্রিকাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ভাবছে বলেও জানান তিনি। আশা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকাকে নিয়ে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, ওবামার সফরের পর তা কমবে।

পেছনের দিকে তাকালে দেখা যায়, ওবামা আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্টের নবায়ন করেছেন। আমেরিকান ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইড এখনো আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১১ সালে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়। এ সময় এসব খাতে মার্কিন সরকারের সাহায্য কমে যায়।

এ সময় আফ্রিকার দিকে বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দেয় চীন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় চীন। আফ্রিকার দেশগুলোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিক জনসংখ্যা। কেনিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নগরায়ণ, প্রযুক্তি, দুর্নীতি খাতসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা থেকে বের হতে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায় তারা। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির হোয়াইট হাউস সফরের মধ্য দিয়ে সেই পথটি সহজ হয়ে যায়। তাঁর সফরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কেনিয়া সফরে যান।

সফরে গিয়ে ওবামা আফ্রিকায় সুশাসন, অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁর কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া যায়নি। গত বছর সমকামী বিষয়ক আইন পাস করায় যুক্তরাষ্ট্র উগান্ডায় ত্রাণ কমিয়ে দেয়। ওবামার সময় আফ্রিকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনো বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়নি। তাই ওবামাকে ঘিরে আফ্রিকাবাসীর স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেছে। কেনিয়া সফরের পরও অবস্থা খুব বেশি বদলায়নি। তাঁকে নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.