রাজীব মীরকে বাঁচাবে আপনার ১০ টাকা

0

টাকার অংকটা আপনার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকছে? কিন্তু না। এটিই সত্য। মাত্র ১০ টাকা। ১০টি টাকা হলেই বেঁচে যেতে পারেন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকা রাজীব মীর।

চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক, গবেষক ও লেখক রাজীব মীর। আরো সপ্তাহখানেক আগেই ডাক্তাররা জানিয়েছেন রাজীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আর মোটে দুই মাস। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশান করে যদি লিভার প্রতিস্থাপন করা যায় তাহলে তিনি বাঁচবেন।

তাই তাকে বাঁচানোর জন্য ইতোমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন একজন সহৃদয় ব্যক্তি। তিনি নিজের লিভারের একটি অংশ রাজীবকে দান করতে রাজি হয়েছেন। ডাক্তাররাও প্রস্তুত। যে কোনো সময় হতে পারে অপারেশান। কিন্তু ১০টি করে  টাকার জন্য আটকে আছে অপারেশান। জ্বি। ১০টি মোটে টাকা।

রাজীবের অপারেশানের জন্য দরকার ৬০ লাখ টাকা। আর তার সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে প্রয়োজন প্রায় ৯০ লাখ টাকা। এতো বিপুল অর্থ রাজীবের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।

কিন্তু আপনি টাকার বিহিত করতে পারেন। আমি এই অর্থের যোগান দিতে পারি। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি রাজীবের চিকিৎসার টাকাটা উঠে যাওয়া একটা সামান্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সকলের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই প্রায় ৩৮ লাখ টাকা যোগাড় হয়ে গেছে। তার অপারেশনটা করতে প্রয়োজন আর মাত্র ২০-২২ লাখ টাকা।

কিন্তু আমরা আপনার কাছে ১ লাখ বা ১০ হাজার বা ১ হাজার টাকা চাই না। আমরা আপনার কাছে ১০টি মাত্র টাকা চাই।

রাজীবকে বাঁচানোর জন্য আপনি ১০টি টাকা বিকাশ করুন। আপনার ও আমার মতন দুই লাখ মানুষ ১০ টাকা করে দিলে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই ২০ লাখ টাকা তোলা সম্ভব।

এক প্যাকেট বেনসন সিগেরেটের দাম ২১০টাকা। আর একটি বেনসন খুচরো কিনতে গেলে দাম ১১ টাকা। কিন্তু আমরা আপনার কাছে এক প্যাকেট সিগেরেটের টাকা চাই না। এমনকি একটি বেনসনের টাকাও চাই না আপনার কাছে। একটি বেনসনের চেয়েও কম মূল্যে, মাত্র ১০ টাকায়, আপনি বাঁচাতে পারেন রাজীবের জীবন।

দেশে রয়েছে প্রায় শ দুয়েক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের অনুরোধ একটি সিগেরেট কম খেয়ে আপনি রাজীবকে ১০টি টাকা দান করুন।

দেশের সকল তরুণ-তরুণীর কাছে আমাদের সকাতর অনুরোধ আপনার সবাই দুইটা সিঙ্গারার টাকা বাঁচিয়ে, এক বেলার রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে, ইফতার পার্টিতে একটা ডিমের চপ না খেয়ে রাজীবের জন্য ১০টি টাকা সাহায্য করুন।

একটি ডিমের চপ না খেলে আপনার ইফতারিতে খানিক অপূর্ণ থাকবে জানি। কিন্তু একবার ভাবুন, রাজীবের এক বছর বয়সী কন্যা যদি কোনো দিন বাবা বলে আর ডাকতেই না পারে তাহলে কতখানি অপূর্ণ থাকবে তার জীবন? তার বাবা ডাকের চেয়েও ইফতারিতে একটা ডিমের চপ কি অনেক বড়?

দুঃখী ও পীড়িত মানুষের ব্যথাকে ধনী ও সামর্থবান মানুষেরা যেন হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারেন সেজন্যই ইসলামে এসেছে রোযা রাখার বিধান। এই উপলব্ধির মাসে আপনি রাজীবের বেঁচে থাকার আকুতিকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করবেন, এটিই আমরা আশা করি।

এই ঈদে আপনার-আমার বাড়িতে বাহারি পোশাক কেনার ধুম লেগেছে। ঈদের দিনে আপনার বাড়িতে পিঠা-পায়েস-কোরমা-পোলাওয়ের সুবাসে বাতাস ম ম করবে।

কিন্তু এই ঈদে রাজীবের বাড়িতে আর্তনাদ, কান্নার রোল। ঈদের দিনে খাবার টেবিলে ভাতের থালা সামনে নিয়ে লুকমা মুখে দেবার আগেই রাজীবের মায়ের চোখে উথলে উঠবে অশ্রুধারা। সন্তানকে হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি রেখে কোন সে মা ভাতের দলা মুখে দিতে পারেন!

আসুন, আমরা সকলে রাজীবের ভাই হয়ে, বন্ধু হয়ে, স্বজন হয়ে, রাজীবের পাশে দাঁড়াই। আসুন, ১০টি মাত্র টাকা বিকাশ করে মুছিয়ে দিই এক মায়ের কান্নাভেজা চোখ। ১০টি মাত্র টাকা দিয়ে রাজীবের কন্যার মুখে ফিরিয়ে আনি হাসির ফল্গু ধারা।

রাজীব মীরকে অর্থ সাহায্য পাঠানোর নাম্বার সমূহ:

বিকাশ নাম্বার: ০১৭৯২ ৪৫৫ ৮২৮ (জান্নাত), ০১৭৪৮ ৭২৫ ৫৯৯ (জান্নাত), ০১৭১১ ২৭৮ ৫২৬ (জান্নাত) , ০১৮১৮ ৯৭৮ ৭১৮ (সাইফুল), ০১৭৭৮ ৭৯৫ ৮২৭(বিজু), ০১৯৬৯ ৭৯৯ ৪০২ (আকিদুল); ০১৯৬২ ৬৪৬ ১১০ (ভূবন); ০১৭৩০ ৯৯৫ ৩৩৩ (সুমন) (সব নাম্বারই পার্সোনাল)

রকেট নাম্বার: ০১৯১২ ৬৭৮ ০৪৫৭ (সাইফুল), ০১৭৮৮ ৭৯৫ ৮২৯৭ (বিজু), ০১৬৭৬ ৭১৩ ৯৪৬৮ (ভূবন) ; ০১৯৬৯ ৭৯৯ ৪০২৩ (আকিদুল)

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার: Sayeda Farjana Yasmin, a/c 186.103.19648, Dutch Bangla Bank, Munshigonj Branch, Munshigonj

সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন, হিসাব নম্বর: ১৬৭৭৭, ইসলামী ব্যাংক, নিউ মার্কেট শাখা, ঢাকা।

বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়:A.T.M. Akhtar Uddin, 227/ 3A/ 2, Old-19, Zigatola, Dhanmondi, Dhaka,Bangladesh. Cell: 01792455828

লেখক পরিচিতি: লেখকেরা পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.