জামাল জাহেদ, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার শহরে ব্যাপক হারে মোটর সাইকেল ছিনতাইকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শহরের কলাতলি পয়েন্ট,উর্মি রেস্টুরেন্ট পয়েন্ট,সুগন্ধা পয়েন্ট,ডায়বেটিস পয়েন্ট, সদর হাসপাতাল, নিজস্ব বাসাবাড়ি বা গ্যারেজ থেকে বিগত ছয় মাসে এসব মোটর বাইক চোরদের হাতে খুনসহ চল্লিশটার মতো মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
ছিনতাইগুলোর অধিকাংশই সংঘটিত করেছে চুরি করেছে রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট, যাদের রয়েছে বড় নেটওর্য়াক রয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সন্ধ্যায় কৌশলে নুনিয়াছড়ার আনোয়ার নামে এক ব্যবসায়ীর ডিসকভার ১৫০সিসি মোটর সাইকেল টি তার গ্যারেজ থেকে উধাও করে পেলছে কোন সিন্ডিকেট,অনেক খোজাখুজি করেও পেলোনা পরে রাত ৮টার সময় মডেল থানায় জিডি করার প্রক্রিয়া করতেছে বলেন জানান আনোয়ার।
সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে সোমাটেক ঔষুধ ফার্মাসিউটিক্যালস এর এরিয়া ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামের মোটরবাইক টি সমুদ্র সৈকতের উর্মির সামনে থেকে নিয়ে যায়,তিনি বাইক রেখে সৈকতে সমুদ্র দেখতে গেলে খোয়া হয় তার বাইকটি,এভাবে এসব সিন্ডিকেটের হাতে খুন হয়েছে টমটম চালক ডায়বেটিস পয়েন্টে। গত ১৮ই আগষ্টে সন্ধায় সরকার দাপ্তরিক কাজ করতে সদর হাসপাতালের ডুকলে মোটর বাইকে রেখে তার আর পাওয়া যায়নি,এভাবে কক্সবাজারে ৬মাসে অর্ধশত মোটর সাইকেল ছিনতাইকারীর শিকারে পরিণত হয়, অনেক সময় রাতে পথরোধ করে কুপিয়ে জখম করে কারো হিরো হোন্ডাটি ছিনিয়ে নেয়।
কখনো বাড়ি থেকে রাতের বেলায় জানালার গ্রিল কেটে, ডাকাতির স্টাইলে চুরি হচ্ছে। প্রশাসন কিছুতেই এসব সিন্ডিকেটদের গ্রেফতার করতে পারতেছেনা,অনেকে মনে করেন শহরে এসব চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজটা করে যাচ্ছে কক্সবাজারের কিছু ভাসমান রোহিঙ্গা বখাটে যুবক এসব কাজ নীরবে করে যাচ্ছে,এ ব্যাপারে মডেল থানায় একাধিক মামলা হয়েছে,জিডি হয়েছে কিন্তু সিন্ডিকেটটি ধরা ছোয়ার বাহিরে অক্ষত রয়ে যাচ্ছে,থানা পুলিশ কখনও কখনও আসামীদের গ্রেফতার করলেও এ যাবৎ কোন গাড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হননি। বর্তমানে এই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের ভয়ে সন্ধ্যার পরে মহাসড়কসহ শহরের গলিতে মোটর সাইকেলের চলাচল একেবারেই কমে গেছে। এ ব্যাপারে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ছিনতাইকারীদের আটক করতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কারা মুলত কাজটা করে।