সীতাকুণ্ডে গনপিটুনিতে ডাকাত নিহত

0

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় গনপিটুনিতে এক অজ্ঞাতনামা ডাকাত (৫২) নিহত হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মান্দারীটোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

জানা যায়, দুই বাড়িতে ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন ৩ ডাকাত। এ সময় উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিলে এক ডাকাত নিহত হন এবং অপর দুইজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। সোমবার ভোর ৪টার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার জামাল উল্লাহ জানান, পার্শ্ববর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের দুই বাড়িতে ডাকাতি করে ফিরে যাচ্ছিল ১১ জনের একটি ডাকাত দল। এ সময় ডাকাতি প্রতিরোধে গঠিত এলাকা ভিত্তিক ‘প্রতিরোধ কমিটির’ দুই যুবককে একা পেয়ে তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এরপর ওই দুই যুবক স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করলে জনগণ ও ডাকাতি প্রতিরোধে গঠিত কমিটির লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। স্থানীয় জনতা তিন ডাকাতকে ধরে গণধোলাই দেয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে এক ডাকাত নিহত হয়। অপর দুজনকে সীতাকুণ্ড মডেল থানা-পুলিশ নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম এবং ওসি ( তদন্ত) সুমন বনিক।

প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ডে গত মাসে প্রায় ১৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে ৩০ জনকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়েছে। এরপর গত রবিবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের হাত,মুখ বেঁধে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণ, দুটি ল্যাপটপ, দুটি ট্যাব ও ৫ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ২০/২২ জনের একটি ডাকাতদল দরজা ভেঙে ঘরে ঢুুুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিন্মি করে একটি রুমে আটকিয়ে রাখে। এসময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালন্কার, ল্যাপটপ, ট্যাব ও মোবাইল নিয়ে যায়।

প্রতি রাতে উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে হানা দিচ্ছে ডাকাত। ডাকাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপজেলায় । বাধ্য হয়ে জানমাল রক্ষার্থে লোকজন চুরি, ডাকাতি রোধে প্রতি রাতে দল বেঁধে পাহারা দেওয়া শুরু করেন। ডাকাতের ভয়ে এক প্রকার আতঙ্ক কাজ করছে মানুষের মধ্যে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.