কালিদাস কবিকুলগুরু

0

হাবিবুর রহমান স্বপন : ধ্রুপদী সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের যে বীণাযন্ত্রে সূক্ষ্মতম ও স্বর্গীয়তম ঝংকার প্রাচীন ভারতে অনুরণিত হয়েছিল সেই স্বর্ণবীণা হলেন মহাকবি কালিদাস। উপমা প্রয়োগে কালিদাসের সমকক্ষ কবি নেই। একদিকে মানুষের পুঁথিশালা, অন্যদিকে প্রকৃতির চিত্রশালা- দুইয়ের ওপরই তার সমান দখল ছিল। তাইতো তিনি ‘কবিকুলগুরু’।

সমগ্র প্রাচ্যদেশ তথা পৃথিবী সংস্কৃত সাহিত্যের কাছে ঋণী। সেই সংস্কৃত সাহিত্য মহাকবি কালিদাস অমরাবতীর অমৃত দ্বারা প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। যে কারণে সাহিত্য বা ভাষা ধ্বনি আর আক্ষরিক পর্যায়ে সীমিত রইল না। সুললিত সুর ঝংকারে কাব্যবীণা অনুপ্রাণিত করল। সেই সুরধ্বনি, সেই সুললিত কাব্য দ্বারা সে যুগের সংস্কৃত সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।

তাত্ত্বিকদের ধারণা কালিদাসের কাল দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত্যের রাজত্ব কালে (৩৫০-৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ)। এ সময়ে ভারতে যে সমৃদ্ধ বিচিত্রমুখী সংস্কৃতি দেখা দিয়েছিল, তারই মহত্তম প্রতিনিধি এই কবি। কবি ও নাট্যকার উভয় রূপেই তিনি স্থায়ী আসন অধিকার করে আছেন। কালিদাসের সময়কাল বা তার জন্মকাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন :
‘হায় রে কবে কেটে গেছে
কালিদাসের কাল
পণ্ডিতেরা বিবাদ করে
লয়ে তারিখ-সাল।’

‘ঋতুসংহার’ কবির প্রস্তুতি পর্বের কাব্য। প্রথম দিকের অপরিণত বয়সের রচনা হলেও রচনাভঙ্গির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের অঙ্কুর তাতে সুস্পষ্ট। আবেগের ফল্গুধারায় সেখানে ষড়ঋতুর বর্ণনা সরস হয়ে উঠেছে। ‘কুমার সম্ভব’ ও ‘রঘুবংশ’এই দুই মহাকাব্যের মধ্যে ‘রঘুবংশ’ পরিণততর। প্রখ্যাত রঘুকুল প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত নিয়ে এই কাব্যের সূচনা। এই কাব্যে নায়ক নেই। রঘুর রাজবংশই মহাকবি কালিদাস কল্পিত ‘রঘুবংশ’ কাব্যের নায়ক। এক বিমূর্ত ভাবনাকে নায়ক রূপে রূপায়িত করে কালিদাস অসাধারণ শিল্পদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কাব্যটি যেন বিভিন্ন রসের বিবিধ তীর্থ পরিক্রমা করে সমস্ত আবেগের পরিসমাপ্তিতে শান্তরসের সঙ্গমে উপনীত হয়েছে।

‘রঘুবংশ’ কাব্যের পটভূমি ব্যাপক ও বিস্তৃততম। বীর থেকে কামাচারী, দায়িত্ববোধহীন, স্বার্থপর, গৌণ নানা চরিত্রের সমাহার এই কাব্যে। ঘটনা বৈচিত্র্যও লক্ষ করার মতো। তপস্যা, বিবাহ, প্রণয়, বিচ্ছেদ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ঘটনা, মানব প্রকৃতির বিচিত্র অভিব্যক্তি, নিসর্গ বর্ণনা, সমাজের জটিল ভূমিকা সবকিছুর শিল্পনিপুণ সমাবেশে ‘রঘুবংশ’ অনুপম কাব্য হয়ে উঠেছে। কালিদাসের পূর্বে বা পরবর্তীকালে এই ধরনের কাব্য সংস্কৃত সাহিত্যে দেখা যায় না। এটি কালিদাসের পরিণত শিল্পী মনের অপরূপ সৃষ্টি।

তবে কালিদাসের কবি-প্রতিভার চূড়ান্ত নিদর্শন ‘মেঘদূত’। রামগিরি থেকে হিমালয় পর্যন্ত প্রাচীন ভারতের এক খণ্ড কিন্তু অনন্য চিত্রে সমুজ্জল এই ক্ষুদ্র গীতিকাব্য। কেতকীবেষ্টিত উপবন, পাখিদের নীড়, গ্রামচৈত্য, উজ্জয়িনী, অবন্তী, বিদিশা প্রভৃতি নগর, বিন্ধ্যা, কৈলাস, দেবগিরি প্রভৃতি পর্বত এবং রেবা, শিপ্রা, বেত্রবতী ইত্যাদি নদী, সুপ্ত নগরসৌধ, পরিত্যক্ত রাজপথ, হর্ম্যবাতায়ন থেকে ভেসে আসা পুরবধূদের কেশ সংস্কার ধূপের ঘ্রাণ- সব মিলিয়ে অতীত, অবলুপ্ত ভারতের এক সজীব চিত্র মেঘদূত কাব্যে চিরবিধৃত। বহিরঙ্গ পরিচয় এই কাব্যের শেষ কথা নয়। এই কাব্যে ধ্বনিত হয়েছে সর্বকালের মানুষের অতলস্পর্শ বিরহ। এক অর্থে প্রতিটি মানুষই নির্বাসিত, বিরহী যক্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কাব্যের মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিখেছেন : ‘উৎসবে যে মাটির প্রদীপের সুন্দর দীপমালা রচনা হয় পরদিন তাহা কেহ তুলিয়া রাখে না। ভারতবর্ষে আনন্দ-উৎসবে নিশ্চয়ই এমন অনেক মাটির প্রদীপ, অনেক ক্ষণিক সাহিত্য নিশীথে আপন কর্ম সমাপন করিয়া প্রত্যুষে বিস্মৃতিলোক লাভ করিয়াছে। কিন্তু প্রথম তৈজস প্রদীপ এখনো আমাদের ঘরে রহিয়া গেছে। আমাদের উজ্জয়িনীবাসী পিতামহের প্রসাদশিখরে তাহা প্রথম জ্বলিয়া ছিল, এখনো তাহাতে কলঙ্ক পড়ে নাই।’

‘মেঘদূত’স্বরবৈচিত্র্য, ধ্বনি গাম্ভীর্য, অতুলনীয় চিত্রকল্পের সমাবেশে এক অনন্য বর্ষাকাব্য। মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত এর প্রত্যেকটি শ্লোক আপনাতে আপনি সমাপ্ত। প্রতিটি শ্লোক স্বতন্ত্র হীরকখণ্ডের মতো উজ্জ্বল এবং সমস্ত কাব্যটি হীরকহারের মতো সুন্দর। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন : ‘মেঘদূত ছাড়া নববর্ষের কাব্য অন্য কোনো সাহিত্যে কোথাও নাই। ইহাতে বর্ষার সমস্ত অন্তর্বেদনা নিত্যকালের ভাষায় লিখিত হইয়া গেছে। প্রকৃতির সাংবাৎসরিক মেঘোৎসবের অনির্বচনীয় কবিত্বগাথা মানবের ভাষায় বাঁধা পড়িয়াছে।’

‘মেঘদূত’-এ গল্প নেই। যেটুকু আছে তা অতি প্রচ্ছন্ন। প্রভুশাপে নির্বাসিত যক্ষ, বর্ষার মেঘকে তার বিরহিনী প্রেয়সীর কাছে বার্তা পৌঁছে দেবার জন্য অলকাপুরীতে যেতে কাতর অনুরোধ জানিয়েছে। কাব্যের প্রথমার্ধে যক্ষ মেঘকে অলকাপুরী যাবার পথ নির্দেশ করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে সে অলকার বর্ণনা দিয়েছে, তার সৌধাবলী যক্ষবধূ সব কিছু বলে পরিশেষে সে তার বার্তা জানিয়েছে। মঙ্গলাচরণসহ কাব্য শেষ হয়েছে। মঙ্গল আচরিত হয়েছে মেঘের প্রতি যক্ষের এক আশীর্বাণীতে : ‘ক্ষণকালের জন্যও যেন বিদ্যুৎ প্রিয়ার সঙ্গে যেন বিচ্ছেদ না ঘটে।’

কালিদাস সবিস্তারে মেঘের বিচিত্র যাত্রাপথের বিবরণ দিয়েছেন; শুস্ক তৃষ্ণার্ত ভূমি, বিরহখিন্না প্রণয়িনীর মতো শীর্ণ অগভীর জলধারাগুলি মেঘের পথ চেয়ে আছে, পথ চেয়ে আছে পর্বতগুলিও তাদের প্রিয় বন্ধু বর্ষার মেঘের জন্য। কৃষক বধূরা এক হাতে শিথিল কেশপাশ সরিয়ে উৎসুক চোখে আকাশের বুকে মেঘের সন্ধান করছে। উজ্জয়িনী প্রমুখ নগরী, সেখানকার নগরবাসিনীরা, গণিকামণ্ডলী এবং মন্দিরে মন্দিরে দেবদাসীদের শ্রান্ত দেহ বর্ষাবারির সস্নেহ চুম্বন লাভের অপেক্ষায়, পরিণত ফলচ্ছায়ে শ্যাম বনান্ত ভূমি, গ্রামে গ্রামে উদয়ন কথালাপ, দক্ষ গ্রাম্য বৃদ্ধের দল- এ সব কিছুর অনুপম সন্নিবেশনে প্রথমার্ধে যেন ভূমিকা রচনা করা হয়েছে। পূর্ব মেঘকে উদ্দেশ্য করে কালিদাস বলছেন :
‘অলকা থেকে বহু দূরে
প্রেমী যক্ষ হলো নির্বাসিত
কর্তব্যে অবহেলা, অপরাধ বটে
তাই সে প্রিয়া-মিলন বঞ্চিত
নিরালায়, নির্জনে, দূরে
দীর্ঘ বারো মাস,
প্রিয়া সান্নিধ্যের আশা,
শুধু কল্পনা বিলাস।’

দ্বিতীয়ার্ধে বর্ণনার কেন্দ্রবিন্দুতে দেখা দিয়েছে অলকা, সে এক কল্পজগৎ; সেখানে অশ্রু নেই, দুঃখ নেই, বিচ্ছেদ নেই। চিরযুবা যক্ষেরা সেখানে যথেচ্ছ প্রণয় সুখ ভোগ করে। এই কাব্যময় বর্ণনার পটভূমিতে এক দিকে দেখা যায় রামগিরি পর্বতে প্রিয়বিরহী অদেখা যক্ষকে। অন্যদিকে বিরহখিন্না তারই প্রোষিতভর্তৃকা বধূকে। উত্তর মেঘের উদ্দেশ্যে সে বলছে :
‘হে মেঘ, শোনো এবে
অলকার কথা বলি তোমায়,
দীপ্তিময়ী ললনারা যেথা
বিদ্যুৎসম ঝলকি যায়।
হে মেঘ, ইন্দ্রধনু
তোমার সঙ্গে যেমন, অলকার প্রাসাদে, প্রাসাদে
তেমন অনবদ্য চিত্রণ।’

বর্ষাকাল বিশেষভাবে বিরহ দুঃখজনক। পুরাকালে বর্ষা ছিল কর্মহীন- তখন যুদ্ধ বা বাণিজ্য সম্ভব ছিল না। স্থলপথে (এবং জলপথেও) ভ্রমণ ছিল দুঃসাধ্য। তাই বর্ষারম্ভের পূর্বেই প্রবাসী পতিরা ঘরে ফিরতেন। পূর্বমেঘে তার বহু উল্লেখ আছে। বর্ষার সঙ্গে বিরহ বেদনার সম্বন্ধ ভারতের একটি প্রধান কবিপ্রসিদ্ধি। রামায়ণের কিস্কিন্ধাকা, মেঘদূত, জয়দেব ও বৈষ্ণব গীতিকা, তারপর রবীন্দ্রনাথ, এমনি করে একটি আবহমান ধারা চলে আসছে এবং আজকের যন্ত্রযুগেও বর্ষার মেঘ আমাদের মনে কীরকম মায়াবিস্তার করে, তার প্রমাণ আছে নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদসহ বহু কবি সাহিত্যিকের গান, কবিতা ও গল্পে।

কবি কালিদাসকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘কবিবর’ বলে সম্বোধন করেছেন। কালিদাসের প্রথম বয়সের রচনা ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’। এটি একটি পঞ্চ নাটক। বিদিশার অধিপতি শুঙ্গবংশীয় অগ্নিমিত্র এই নাটকের নায়ক। মালবিকা রাজঅন্তঃপুরের এক রূপসী পরিচারিকা। তবে তার প্রকৃত পরিচয় তিনি বিদর্ভ রাজকন্যা। দস্যু হস্তে পড়ে ঘটনাক্রমে অগ্নিমিত্রের অন্তঃপুরে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এই নাটকে কালিদাস রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরের চিত্র অঙ্কন করেছেন। কালিদাস রচিত আরেকটি পঞ্চ নাটক ‘বিক্রমোর্ব্বশী’। এই নাটকের উপস্থাপনা কৌশলে রচয়িতার যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। একদা রাজা পুরুরবা পুষ্পকরথে আকাশে বিহার করছিলেন। তখন তিনি আর্তস্বর শুনতে পান। পূঞ্জীভূত মেঘমালা ব্যতীত তিনি কিছুই দেখতে পারছিলেন না। স্বর্গের অপ্সরা রম্ভা অদৃশ্য থেকে চিৎকার করে বলছেন, ‘অসুরের নির্মম হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন’। অসুরদের হাত থেকে অপ্সরাকে উদ্ধার পর্ব নাটকীয় এবং হৃদয়গ্রাহী। নাটকের শেষাঙ্কে দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক রাজা পুরুরবাকে সাহায্য করা এবং সর্বশেষে মেঘে মেঘে মন্দ্রিত স্বর্গীয় পবিত্র সুরের মধ্যে দেবর্ষি নারদের বিদায় দৃশ্যের বর্ণনা অসাধারণ।

‘নলোদয়’ কালিদাসের অপর একটি আখ্যানকাব্য। নল নামের এক প্রসিদ্ধ রাজার রাজনীতি এবং তার নীতিপরায়ণতার কথা এর উপজীব্য। ওই রাজার রাজত্বকালে অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, মুষিক বা পঙ্গপাল প্রভৃতির উপদ্রব ছিল না। যা কিছু শ্রেষ্ঠ, যা কিছু উত্তম তিনি তা আয়ত্ব করে সর্বদা প্রজাদের সুখে তৎপর ছিলেন। রাজার গুণে গুণান্বিত রাজার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্বয়ং বিষ্ণু ও মহেশ্বর তার রাজ্যে অবস্থান করতেন। নল রাজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং সেই ষড়যন্ত্রকে জয় করে পুনরায় রাজ্য শাসনের গল্প রয়েছে এতে।

‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ মহাকবির আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি। এই নাটক সম্পর্কে ইউরোপের (জার্মান) বিখ্যাত কবি গ্যাটে যে প্রশস্তি করেছেন তা দীপশিখার মতোই উজ্জ্বল। তিনি বলেছেন : ‘কেহ যদি তরুণ বৎসরের ফুল ও পরিণত বৎসরের ফল, কেহ যদি মর্ত্য ও স্বর্গ একত্রে দেখিতে চান, তবে ‘শকুন্তলা’য় তাহা পাইবেন’। এটি সাতটি সর্গের এক অসাধারণ ক্লাসিক। তপোবনের সৌম্য শান্ত পরিবেশে মহর্ষির আশ্রমে থাকেন তার পালিতা কন্যা শকুন্তলা। হস্তিণাপুরের রাজা দুষ্মন্ত তার প্রিয় সহচরদের নিয়ে শিকারে বের হয়েছেন। চঞ্চলা নয়না একটি হরিণীকে অনুসরণ করতে করতে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষির আশ্রমের কাছে চলে এলেন। মৃগটিকে অনুসরণ করতে করতে বহুদূর আসার পর দেখা গেল সেটি কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। মহারাজার নির্দেশে রথের সারথি রথের অশ্বের লাগাম ছেড়ে দিল। রথ দ্রুতগতিতে ধাবিত হতে লাগলো। সে গতি ইন্দ্রের উচ্চৈঃশ্রেবার গতিবেগকেও অতিক্রম করলো। মৃগটি আবার রাজার দৃষ্টি গোচর হলে তিনি তীর নিক্ষেপের জন্য নিশানা করলেন। কিন্তু সেখানে অবস্থিত একদল ঋষি বালক দুষ্মন্তকে বাণ নিক্ষেপে নিষেধ করলো। তারা মহারাজাকে হিংসা পরিত্যাগ করতে বললো। তারা রাজাকে বললো, নির্দোষগণকে সংহার করা রাজার পক্ষে শোভা পায় না। তারা আরও বললো,‘ আর্তজনকে রক্ষা করাই বরং আপনার ব্রত হওয়া উচিত। রাজা বালকদের কথা মান্য করায় তারা রাজাকে আশীর্বাদ করে বর দিল- রাজা গুণবান পুত্রসন্তান লাভ করবেন। বালকদের আমন্ত্রণে রাজা আশ্রমে গেলেন। আশ্রমে রাজা দুষ্মন্তের সঙ্গে শকুন্তলার সাক্ষাৎ এবং তৎপরবর্তী আনিন্দ্য সুন্দরী শকুন্তলার সঙ্গে রাজার বিয়ে এবং তাদের ঔরসে মহাবীর ভরতের জন্ম। শেষে দুষ্মন্ত, শকুন্তলা ও পুত্র ভরত পুষ্পরথে চড়ে স্বর্গরাজ্যে চলে গেলেন।

প্রকৃতি ও মানবজীবনের আনন্দময় বর্ণনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে কালিদাসের প্রসন্ন জীবনবোধ। তার কাব্যের মূল প্রেরণা এই পৃথিবী ও মানবজীবন। তার রচনায় ব্যক্ত হয়েছে আবেগের সমুন্নত উচ্ছ্বাস, চিরন্তন সত্য ও পর্যবেক্ষণলব্ধ নৈতিকতাবোধ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.