কঠির চীবর দানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ‘টাকার গাছ’!

0

মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : আর মাত্র কয়েক দিন পরে উদযাপিত হবে কঠির চীবর দান। এই উৎসবটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের প্রধান উৎসব হিসাবে পালন হয়ে থাকে।

বর্তমানে প্রায় বন বিহারে কঠির চীবর দান উৎসব পালন করা শুরু হলেও আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) রাঙামাটি রাজবন বিহারে উদযাপিত হবে সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দান।

কঠিন চীবর দান উপলক্ষ্যে রাঙামাটির পাহাড়ি মেয়েরাসহ সকল বয়সের তরুণ-তরুণীরা ইতিমধ্যে দানের প্রধান উপাদান টাকার গাছ তৈরি করা শুরু করেছে। যার অন্য নাম হচ্ছে ‘কল্পতরু’।

রাঙামাটি সদরের মগবান ইউনিয়নে এমনই দেখে মিললো কয়েকজন চাকমা নারীর সাথে তারা তৈরি করছে কঠিন চীবর দানের ‘টাকার গাছ’ বা ‘কল্পতরু’। যা তারা বিহারে দান করবেন পূর্ণ লাভের জন্য।

মগবানের স্থানীয় তরুণী রুপালী চাকমা বলেন, সামনে আমাদের কঠিন চীবর দান। তাই আমরা আমাদের দানের জন্য এই টাকার গাছ তৈরি করছি। এতে আমরা বিভিন্ন টাকার নোট সুতা দিয়ে গেঁথে ঝুলিয়ে দিবো।

তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ’র চরণে আমরা আমাদের এই সামান্য দানটুকু উৎসর্গ করে আমাদের পূর্ণ’র জন্য প্রার্থনা করবো।

স্থানীয় তরুণ পলাশ চাকমা বলেন, কঠিন চীবর দান হচ্ছে আমাদের বৌদ্ধ ধর্মীদের বড় উৎসব। এই দিনে আমরা আমাদের বিহারে বৌদ্ধর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কিছু দান করে থাকি। কারণ আমরা যদি আমাদের মন থেকে সকল অপরাধের ক্ষমা চেয়ে এই দান করে থাকি তবে তা বৌদ্ধ গ্রহণ করে নিবেন এবং আমাদের অপরাধের ক্ষমা করে দিবেন।

‘ভোগে প্রকৃত সুখ নয়, দানে প্রকৃত সুখ’ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন অন্যকে দান করার জন্য আর এই দান আমাদেরকে সুখ লাভের মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমরা বৌদ্ধের কথা অনুসরণ করে দানের মাধ্যমে সুখ খুঁজে নিচ্ছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.