সীতাকুণ্ডে যুবলীগ কর্মীর উপর হামলা, ডাকাতি দলের তথ্য দেওয়ায়
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড পৌর সদরের গজারিয়া দিঘী এলাকায় সন্ত্রাসীদলের হামলায় সুমন জলদাস(২৬) নামের এক স্হানীয় যুবলীগ আহত হয়েছে। পুলিশকে ডাকাতির তথ্য দেয়ার অভিযোগে বুধবার (১০মে) সন্ধ্যায় ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সুমনের উপর হামলা চালায়।
গুরুতর আহতবস্হায় সুমন জলদাসকে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় সে হামলাকারীদের নাম শহিদ, টিটু, শাহাজান, নয়ন, রাজু, কামরুল, মোশারফ, লিটন, বুরুন ও নুনা বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার হাসান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুমন জলদাসের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ যে, গত শুক্রবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবু নাছের মো. তোহা তার পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে বেড়াতে আসেন।
তারা পার্কের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের সময় একটি বাঁকে লুকিয়ে থাকা ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে তাদের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সব কিছু লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার রাতেই চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ইকোপার্কে কর্নেল আবু নাছের মো. তোহা সাহেবের গাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির পর মোট ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে সীতাকুণ্ড পৌরসভার পূর্ব মহাদেবপুর গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র দুর্ধর্ষ ডাকাত নুর উদ্দিনকে শনিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি দা ও নগদ ৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর গতকাল রবিবার সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এছাড়া নুর উদ্দিন এ ঘটনায় জড়িত আরো ৭ ডাকাতের নাম প্রকাশ করে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।