সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষা খাত ভূমিকা রাখবে- ফরিদ মাহমুদ

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ :   রাজনীতিক ও সমাজসেবক ফরিদ মাহমুদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার দেশের শিক্ষা খাতে ইর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

শিক্ষার মানোন্ননের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে।

বছরের প্রথম দিনে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত বই উৎসব নামে ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার।

প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি পর্যন্ত তিন স্তরে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে সরকার।

সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষা খাত ভূমিকা রাখবে।

রোববার(২৩ জুলাই) জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে আরিফ স্মৃতি সংসদ এর সহযোগীতায় ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্যোগ ও সরকারের সাফল্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে  তিনি এসব বলেন।

ফরিদ মাহমুদ বলেন,

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র হতে স্মাতক পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ উপবৃত্তি, নারী শিক্ষার জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিটি উপজেলা-থানা পর্যায়ে একটি করে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক-ডিগ্রি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা জাতীয়করণ করেছে।

দেশের সকল অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন শতভাগ এমপিওভূক্ত করে সরকার তা বহন করছে।

বিদ্যুতের বিভ্রাটে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয় এজন্য সরকার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমনকি মসজিদসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইপিএস সরবরাহ করেছে।

প্রতিটি উপজেলা-থানা-শহর পর্যায়ে সকল সুবিধা সম্পন্ন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কর্মসূচীর আওতায় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নূন্যতম তিনটি সর্বাধিক পঁচিশটি পর্যন্ত কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে।

এ কর্মসূচীর আওতায় প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীরা যেন তথ্য প্রযুক্তি সেবা পায়।

এছাড়া মেয়েরা যেন ডিগ্রি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ পায় তার জন্য সকল কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,

সরকারের সড়ক ও জনপদ বিভাগের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার নতুন ভবন, গবেষণা কেন্দ্র, পরীক্ষাগার তৈরী করে যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে।

এই সরকারের আমলে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধ, ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে ই ভর্তি ব্যবস্থা প্রবর্তন, যথাসময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কারণে শিক্ষাবর্ষে সেশনজট সহনীয় পর্যায়ে নেমে গেছে।

আরিফ স্মৃতি সংসদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং নগর যুবলীগ সদস্য হোসেন সরওয়ার্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সম্মানীয় অতিথি বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আলী নেওয়াজ।

আলোচনা সভার শুরুতে জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রাম এর কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল আলম, মোঃ বদিউল আলম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্যোগ

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা প্রসঙ্গে উপস্থিত সকলকে বিশদভাবে অবহিত করেন।

এসময় সমবেত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশরাফুল গনি চৌধুরী, জহির উদ্দিন সুমন, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ ইয়াছিন ভূইয়া, শেখ মোঃ মহিউদ্দিন, মিটুন দাশ, মিজানুর রহমান, জনি দেব, মোঃ আজাদুর রহমান, রুপম দেব, মোঃ শাকিল, উজ্জল ধর, মোঃ বেলাল, উৎপল দত্ত প্রমুখ।

সভায় বক্তাগণ বলেন, মহাজোট সরকার গত আট বছরে দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাধমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে।

নিরক্ষরতা দুরিকরণেও অর্জিত হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য।

আগে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার শতভাগ।

ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত ভর্তির হার ৬২ শতাংশ, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে ৪৪ শতাংশ

যে জাতি নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে পারে সে জাতির উন্নতি অবধারিত।

বাংলাদেশে শিক্ষায় এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।

একসময় নারী শিক্ষা ছিল শুধু উচ্চবিত্ত ও শহরের কিছু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেই অবস্থা এখন পাল্টে গেছে।

সারাদেশের শতভাগ মেয়েরা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমুখি।

এছাড়াও সরকার শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ এবং ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃতির প্রতি উদ্ভুদ্ধ করে চলেছে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরকারের সাফল্যের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.