সীতাকুন্ডে আওয়ামীলীগের ঐক্যের প্রতীক বাকের ভুঁইয়া

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ  সীতাকুন্ডের রাজনীতির মানচিত্রে আওয়ামী লীগের প্লাটফরমে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া। সীতাকুন্ডের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য এবং অসংখ্য ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত বাকের ভুঁইয়া বর্তমানে সীতাকুন্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক, সীতাকুন্ড উপজেলাধীন ভাটেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা সহ অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও সীতাকুন্ড আলীয়া মাদ্রাসা, টেরিয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর বগাচতর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

সীতাকুন্ডের একটি জমিদার পরিবারে জন্ম নেওয়া বাকের ভুঁইয়ার পিতা মরহুম ফররুখ আহমেদ ভুঁইয়া একজন সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। সীতাকুন্ড ডিগ্রী কলেজ, সীতাকুন্ড মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় মরহুম ফররুখ সাহেব অন্যতম ভুমিকা রাখেন। মামা মরহুম সৈয়দ শামসুদ্দোহা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।

তার ফুফা মরহুম অধ্যাপক নজির আহমদ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। যা বঙ্গবন্ধুর আত্বজীবনী গ্রন্থের ৭১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে। আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া ১৯৭৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৭৯ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক, ১৯৮১ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব ও ১৯৮০ সালে সীতাকুন্ড ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে নাট্য সম্পাদক পদে তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগের সাথে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করেন।

১৯৯৩ সালে ১১ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এবং বর্তমানেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করছেন। বিগত ২৪ বছর যাবত সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত নিষ্টার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ২০০৯ সালে অনুষ্টিত উপজেলা পরিষদের নিরপেক্ষ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি দলীয় প্রার্থীকে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সফল ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় সীতাকুন্ডের প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯৫-৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে স্থানীয়ভাবে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪, সীতাকুন্ড আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া সীতাকুন্ডের মাটি ও মানুষের রাজনীতি ও সমাজ সেবায় ভুমিকা পালন করে আসছেন।

মামলা, হামলা, হুলিয়া সহ নানা নির্যাতনের মুখেও আদর্শচ্যুত হননি এই সংগ্রামী নেতা। বর্তমান সরকারের আমলে ও ২০১৪ সালে বিএনপি-জামাতের নাশকতা প্রতিরোধে অগ্রনী ভুমিকা পালন করা ছাড়াও তৃনমুল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সীতাকুন্ড আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী রাজনীতির দুর্গে পরিনত করেন। বাকের ভুঁইয়ার অত্যধিক পরিশ্রম, সাহস, নিষ্টা, সততা, আদর্শ ও মেধা-মননে সীতাকুন্ডে আওয়ামী লীগের শক্ত ভীত রচিত হয়েছে।

প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মী থেকে উপজেলার নেতাকর্মীরা বাকের ভুঁইয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কোন গ্রুপিং-কোন্দলে নেই তিনি। বাকের ভুঁইয়া দৃঢ়চিত্তে মনে করেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সুচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান, যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নিজস্ব সৃজনশীল চিন্তাশীলতা থেকে আজ উৎসারিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক একটি অমিমাংশিত বিস্ময় বলে মন্তব্য করেছে। বাকের ভুঁইয়া মনে করেন, উন্নয়নে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জাতির সাফল্যের ইতিহাস। আজ পৃথিবী এ সাফল্য দেখছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাত, অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। এভাবে উন্নয়নের পথেই হাঁটবে ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

সীতাকুন্ডের জনপদে সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহনকারী এই জননেতা এখন সাধারন মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সারাজীবন রাজনীতি করেছেন ত্যাগ, শ্রম ও মেধায় জনকল্যানে মানবতার মানচিত্রে। সচ্ছ রাজনীতির সুস্থধারাকে সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে রাজপথে আপোষহীন, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিত্ব বাকের ভঁইয়া। আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ এই মানুষটির রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রতিভা। বাকের ভুঁইয়ার রাজনৈতিক জীবনে এই সাফল্য একদিনে আসেনি।

দিনের পর দিন গ্রামীন জনপদে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের সুখে দু:খে সাথী হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে সংগ্রামী জীবনের পথচলায় আলোকিত সমাজ নির্মানে নিষ্টার সাথে ছাত্রজীবন থেকে আজ অবধি কাজ করছেন বাকের ভুঁইয়া। সৎ, নিষ্টাবান রাজনীতি, সমাজসেবা, দলীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে তিনি জীবনের প্রতিটি দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। নীতি ও আদর্শকে জলাঞ্জলী দেননি। অন্যায়ের সাথে, সুবিধাবাদীদের সাথে রাজনীতির ধারাপাত পড়েননি বাকের ভুঁইয়া। গনমানুষের অধিকার, সামাজিক মুল্যবোধ ও মৃদুভাষী বাকের ভুঁইয়া তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত আস্থাভাজন ও ভরসার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও মানবিক মুল্যবোধ সমুন্নত রেখে নিপীড়িত, নিগৃহীত মানুষের পাশে সবসময় সোচ্চার বাকের ভুঁইয়া।

সীতাকুন্ডের তৃনমুলের নেতাকর্মীরা জানান, সীতাকুন্ডে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাবেক সাংসদ মরহুম আবুল কাশেম মাষ্টারের পর যদি কোন নেতাকে এই আসনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারন করতে হয় তবে আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়ার কোন বিকল্প নেই। মরহুম আবুল কাশেম মাষ্টার জীবিত থাকা অবস্থায়ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড মনিটরিং ও দলকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন বাকের ভুঁইয়া। এক সময়ের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এস.এস প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র, তারুন্যের অহংকার, সমাজ সেবক, সংগঠক, শিক্ষিত-মার্জিত ও দলের জন্য ত্যাগী এই নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহবান রয়েছে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি।

অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতির পরিমন্ডলে সীতাকুন্ডের মাটি ও মানুষের রাজনীতির স্বপ্ন তাকেই এবার মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন মনে করেন নেতাকর্মীরা। মুজিব আদর্শের সৈনিক বাকের ভুঁইয়ার রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছেন নিরলসভাবে। সীতাকুন্ডের উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করছেন গ্রামীন জনপদে। সময়ের সাহসী রাজনীতিবিদ বাকের ভঁইয়া এগিয়ে যাবেন শত প্রতিকুলতা ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে, আলোর পথে আলোকিত সমাজ ও রাজনীতিকে গনমানুষের কল্যানে এই প্রত্যাশা সীতাকুন্ডবাসীর।

আওয়ামী লীগ বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য, চেতনা ও অহংকারের প্রতীক। আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়াও সীতাকুন্ডের মাটি ও মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। সংগ্রামী জননেতা বাকের ভুঁইয়া নিপীড়িত জনগনের বন্ধু। এই ব্যক্তিত্বের প্রধান কর্মকান্ড আবর্তিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে। সামাজিক সংস্কৃতিক আন্দোলন সহ সমাজের অসহায় মানুষের পাশে যিনি সব সময় উপস্থিতি জানান দেন, তিনি বাকের ভঁইয়া। সুশীল ও টেকসই সমাজ বিনির্মানে রাজনীতির আদর্শের প্রশ্নে তিনি আপোষহীন।

রাজনীতির প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতা তার চিন্তা ও চেতনায় কাজ করায় মানবসেবা বা রাজনীতিতে সুফল বয়ে আসতে বাধ্য। তারুন্য হল বর্ষার এক খরস্রোতা নদী। বহতা নদীর প্রবাহিত যেন সুধাধারা। তারুন্য ধারন করে সত্য প্রতিষ্টার প্রেরনা, দিন বদলের, পরিবর্তনের, ভেঙ্গে গড়ার আকাঙ্খা। ভবিষ্যত আলোহীন গহন কালোর অভিমুখে অগ্রসরমান। বাকের ভুঁইয়া সোনার বাংলা বিনির্মানের তেজোদ্দীপ্ত অগ্নিমন্ত্রের দীক্ষাদাতা, রাজনীতির এক লডাকু সৈনিক যিনি রাজনীতিবিদ হয়ে শিক্ষা, উন্নয়ণ, শিল্প, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এগিয়ে নেয়ার লাগাম ধরেছেন। প্রানে যার অনুরনন ঘটে তার জীবন উৎসর্গরত মহিমাম্বিত ত্যাগের শপথে। বনেদী পরিবারের সদস্য হয়েও যিনি কোন অহংকারবোধ করেন না । সীতাকুন্ডের মাটি ও মানুষের নি:স্বার্থ এক সংগ্রামী মানুষ বাকের ভুঁইয়া।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.