ভাঙ্গারি ব্যবসার কারণে দূর্ভোগে পর্যটন নগরী

0

মো: সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : রাঙামাটি শহর একটি পর্যটন নগরী হিসেবেই পরিচিত সারা দেশে। প্রায়ই দেশি বিদেশী পর্যটকরা বেড়াতে আসে এ শহরে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে পর্যটন নগরী রাঙামাটি। কিন্তু রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা ভাঙ্গারি দোকানের পণ্যের স্তুপ আর দুর্গন্ধে শহরে টিকে থাকাটাই দায় হয়ে পড়েছে। যে পর্যটন শহরে সুন্দর পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, সে শহরে এত ভাঙ্গারির দোকান যেনো নোংরা ও অসুন্দর করে দিচ্ছে পুরো শহরের পরিবেশ। এছাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে জনদূর্ভোগও।

শহরের রাস্তার ধারে গড়ে উঠা এইসব ভাঙ্গারি দোকানের কারণে প্রায় সময়ই গাড়ি চলাচলে সমস্যা ও পরিবেশ বিপর্যয় এবং ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এই বিষয়ে নগরবাসীর প্রত্যশা অতিদ্রুত যেনো এই সমস্যা বিষয়ে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ উদ্দ্যোগ গ্রহন করে।

পৌর নাগরিক মাহাতাব উদ্দিন সোহাগ বলেন, রাঙামাটিতে যারা বাহির থেকে বেড়াতে আসে তারা প্রায় সময় এই ভাঙ্গারি দোকানের দুর্গন্ধওয়ালা পণ্যের স্তুপগুলো দেখে হতাশায় পরে। তারা এখানে আসে কিছুটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর দেখার জন্য। শহরের রাস্তার ধুলাবালি ও অপরিষ্কার অবস্থা থেকে কিছুটা দূরে শান্তির নীড়ে অবস্থান করার জন্যই তারা এই নগরীতে আসে। তাছাড়া এই স্তুবগুলোর কারণে শহরে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। তাই আমরা নগরবাসী এই বিষয়ে পৌরসভা ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগের আশা করি।

রাঙামাটি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার করিম আকবার বলেন, আমরা বারবার তাদেরকে নিষেধ করার পরেও তারা এই কাজটি করে থাকে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বহুবার তাদেরকে এই বিষয়ে জানিয়েছি এবং নিষেধ করেছি। কিন্তু এতে করে কোন কাজ হয় না। তাদেরকে নিষেধ করে আসলে তারা মালামাল সরিয়ে নেয়, কিন্তু পরে আবারো তারা এই মালামাল গুলো রাস্তার পাশে ফুটপাতের উপরে স্তুুপ করে রাখে।
তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে বেশ কয়েক বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। আমি আবারো তাদের ব্যবসায়ি সমিতির সাথে কথা বলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে এই বিষয়ে তেমন কেউ অভিযোগ করে নাই। কিন্তু আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলারকে এই বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখার জন্য বলব।

রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। আমরা রাঙামাটিকে ‘ক্লিন এন্ড গ্রিন রাঙামাটি’ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছি। তাছাড়া শহরের রাস্তা ও চলাচলের রাস্তা মেরামত করা হবে। এই মাসেই আমরা এই কাজগুলো শুরু করবো। তখনি রাস্তার পাশে থাকা স্তুুপগুলো সম্পর্কে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.